জ্বলদর্চি

গদ্য পদ্য /পারমিতা রায়

গদ্য পদ্য
পারমিতা রায়


সমাজতন্ত্র নিয়ে কিছু কথা 
   
 আমি সমাজতন্ত্রে বিশ্বাস করি। এই সমাজতন্ত্র হলো সাম্যবাদী সমাজের প্রথম পর্যায়। এই সমাজতন্ত্র বেকারত্ব দূর করে। সমাজতান্ত্রিক হতে পারলে বাংলা থেকে বেকারত্ব 
কিছুটা হলেও কমে যাবে।
আমাদের এই সমাজতান্ত্রিক ব্যবস্থায় সাম্যবাদ কতটা আমরা পর্যবেক্ষণ করতে পারছি আজকের দিনে দাঁড়িয়ে তা নিয়ে প্রশ্ন আছে। 
সাম্যবাদ মানে তো জাতি ধর্মবর্ণ নারী পুরুষ নির্বিশেষে সকলের সমান অধিকার সমাজের বুকে।
কতটা যে সার্থকতা অর্জন করতে পারছে তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে। 
আর ঠিক এই কারণেই বিশ্বাস করি যে সমাজতন্ত্রে বিশ্বাসী হয়েও দার্শনিক রাজনৈতিক সংগঠক সমাজকর্মী মোহনদাস কর্মচন্দ্র গান্ধী কে? আর তার বেশিরভাগ অনন্য আদর্শ আর কর্ম পন্থাকে গভীরভাবে শ্রদ্ধা করা যায় ভালোবাসা যায় মানা যায় এবং ব্যক্তিগত জীবনেও অনুসরণ করা যায় প্রতিনিয়ত। 
ওম গণেশায় নমঃ

বক্রতুণড বৃহৎ দেহবিশিষ্ট, দেব গনেশ, তোমার আশীর্বাদ কামনা করি।

সকলকে শক্তি দাও প্রভু, 
সকলকে দাও সুবুদ্ধি।

লক্ষ্য সূর্যের মতো শক্তিমান,
বিনায়কা, তুমি সকলের, 
দুঃখ, দুর্দশা বিনাশ করো।

বিঘ্ন মুক্ত করো হে প্রভু,
রক্ষা কোরো, এই সমাজ।


মা আসছে 


উমা আসছে, ঐ দেখো উমা আসছে, সঙ্গে দেখো গণু দা, লক্ষ্মী, সরু, কেতু রয়েছে। 
ওই মেয়েটি রয়েছে উমারই ওই স্বর্গের   গালিচায়।
      
    উমা মা বললেন
এবারে আর দিনের বেলায় নয় রাতের বেলায় যাব ।
কেতু যেতে যেতে রাস্তায় দেখল একটা ছেঁড়া ঘুড়ি পড়ে রয়েছে। তাতে বড় বড় জ্বলজ্বলে অক্ষরে লেখা আছে বিচার চাই। 
লক্ষ্মী দেখল রাত্রিবেলায় গাছের ডালে বসে থাকা এক প্যাঁচাকে, আর চারিদিকে দেয়াল গুলিতে লেখা রয়েছে 
বিচার চাই । বিচার চাই ।
এক বছর পার করে 
   ওমা আসছেন তার 
      বাপের বাড়িতে, 
তবু এই সভ্য সমাজে প্রতিবাদ থামছে কই, 
সুবিচার মিলছে কই।

Post a Comment

0 Comments