ইস্কুল ফিস্কুল
পর্ব -২৩
সৌমেন রায়
চিত্র – অসিত কুমার সেনাপতি।
আচার্য দেবো ভব(১)
মাতৃ দেব ভব, পিতৃ দেবো ভব, আচার্য দেব ভব। অর্থাৎ আমাদের সংস্কৃতিতে মাতা, পিতার সহিত শিক্ষককেও দেবতার আসনে বসানো হয়েছে। সুতরাং শিক্ষকের গুরু দায়িত্ব। সেই দায়িত্ব শিক্ষক পালন করতে পারছেন তো? শিক্ষা ব্যবস্থার ‘আঁখো দেখা হাল’ এতদিন ধরে শুনছেন। পরিস্থিতি পরিবর্তনের কোন আভাস দূর দিগন্ত পর্যন্ত নেই। বরং পরিস্থিতি আরো খারাপ হতে পারে। হয়তো বা সেটাই কালের গতি। শিক্ষকদের একাংশ যাবতীয় অব্যবস্থার মধ্যে বেসরকারীকরণের ভয় পাচ্ছেন। কথাটা একদম সত্য না হলেও আংশিক সত্য। সম্পন্ন বাড়ির ছেলেমেয়েরা অনেকে সে পথে পা বাড়িয়েছে। শুধু সম্পন্ন কেন দরিদ্ররাও সর্বস্ব দিয়ে বেসরকারি স্কুলে পড়াতে চাইছেন। কারণ তারা বুঝে গেছেন যে স্কুল ব্যবস্থার ফোকাসটি নড়ে গেছে। মূল লক্ষ্যটি চলে গেছো পিছনের সারিতে। অচিরেই হয়ত স্কুল গুলো হয়ে যাবে EDC & TA ( Entertainment, Distribution Centre and Testing Agency)। বেসরকারি স্কুলে কি হচ্ছে সে কথা গভীরভাবে জানা নেই। তাই সে বিষয়ে মন্তব্য না করাই শ্রেয়। একটা কথা সত্য যে বাংলার গ্রামগুলি প্রতিভার আকর। লক্ষ্য করে দেখবেন প্রতি বছর বেশ কিছু প্রতিভাবান ছাত্র-ছাত্রী গ্রাম থেকে উঠে আসে। প্রতিনিয়ত সমর্থ লোকের অভিবাসন হচ্ছে গ্রাম থেকে শহরে। তা সত্ত্বেও গ্রাম প্রতিভার যোগান দিয়ে যাচ্ছে। বাংলা মাধ্যম স্কুলগুলি না থাকলে বা এমনই ডি – ফোকাসড ভাবে চলতে থাকলে গ্রাম থেকে উঠে আসা ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা ক্রমশ কমে যাবে। গ্রাম বা আধা শহরের এই প্রবাহ বন্ধ হলে সমাজের সমূহ ক্ষতি।এই সমস্ত ছাত্র-ছাত্রীদের সঙ্গে মাটির সংযোগ থাকে। সমস্ত পেশা ক্ষেত্রকে এরা বৈচিত্র দান করে সমৃদ্ধ করে। শহরের ছেলে মেয়েদের ছোট করার প্রশ্ন নেই ।বলছি বৈচিত্রের কথা। যেহেতু ব্যবস্থাটি পুনরুজ্জীবনের সম্ভাবনা প্রায় নেই তাই ফিরে আসতে হয় সেই শিক্ষকের উপর দেবত্ব আরোপে। শিক্ষক কি পারেন খানিকটা অন্তত সেবা যত্ন করে ব্যবস্থাটি বাঁচিয়ে রাখতে? প্রথমে শিক্ষকের বিরুদ্ধে কিছু অভিযোগ খতিয়ে দেখা যাক।তারপর দেখব শিক্ষক নিজে কতটা শিক্ষক আছেন।
শিক্ষকের বিরুদ্ধে সরকার ও জনগণের একাংশের প্রধান অভিযোগ তারা টিউশন করে। টিউশন করে ক্লান্ত হয়ে যায়, স্কুলে আর পড়ায় না। শিক্ষকের টিউশন আইনত নিষিদ্ধ। কিন্তু তাও বন্ধ করা যাচ্ছে না কেন? প্রথম প্রশ্নটা হচ্ছে টিউশন লাগে কেন? একজন স্টুডেন্ট স্কুলেই বা শিখবে না কেন? এসবের উত্তর পূর্বের পর্ব গুলিতে নিশ্চয়ই কিছুটা হলেও আভাস পেয়েছেন। তাই এখানে বিস্তারিত বলার প্রয়োজন নেই। এখানে আলোচ্য শিক্ষকের টিউশন আটকানো যাচ্ছে না কেন? কারণ এটা একটা বাজার। অভিভাবক, ছাত্র - ছাত্রী ভালো শিক্ষকের কাছেই পড়তে চায় । তাই যে ভালো তার কাছেই ছোটে। শিক্ষক তার ডিউটির বাইরে কি করছেন, কি করছেন না তা কি বেঁধে দেওয়া যায়? তিনি তো সরকারি কর্মচারীর নন। দেখা উচিত যে তিনি স্কুলে তার ডিউটিটা ঠিকমত করছেন কিনা।এই অতি প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাপনাটি যেহেতু নেই তাই একটি লোক দেখানো আইন করে দেওয়া হয়েছে। এতে করে বেকার ছেলে মেয়েরাও খুশি হয়েছে। কিন্তু কাজের কাজ হয়নি। হ্যাঁ একটা কথা ঠিক যে শিক্ষক মহাশয় তার নিজের স্কুলের ছেলেদেরকে পড়াবেন না এই আইন থাকা উচিত।কারণ সে ক্ষেত্রে একটা পক্ষপাতের সম্ভাবনা থেকে যায়। তবে অভিজ্ঞতা বলছে বড় জোর পাঁচ থেকে দশ শতাংশ শিক্ষক টিউশন করেন। এর মধ্যে অন্তত পঞ্চাশ শতাংশ শিক্ষক জাত শিক্ষক। এরা টিউশনে যেমন ভালো পড়ান, স্কুলেও একই রকম ভাবে ভালো পড়ান। টিচাররা বেতন পান তারা আবার উপরি রোজগার করলে বেকার ছেলেরা কি করবে? তারাও তো শিক্ষা নিয়ে বসে আছে, চাকরি পাচ্ছে না। এটা একটা সামাজিক সমস্যা। দায়িত্ব শুধু শিক্ষকের নয়। সমস্যার কথা ভেবে তিনি তার অর্জিত স্কিল ব্যবহার থেকে বিরত থাকবেন এটা প্রত্যাশা করা বাড়াবাড়ি। তাছাড়া কেন ছাত্রছাত্রীদের ভালো শিক্ষকের কাছে পাঠ গ্রহণে বঞ্চিত করা হবে? শিক্ষক নন এরকম অনেক যোগ্য টিউশন মাস্টারমহাশয় আছেন। তাদের কাছে যথারীতি স্টুডেন্টরা বেশ ভালো সংখ্যায় পড়ে।
দ্বিতীয় যে সমস্যা তা হল ট্রান্সফার। সরকারি তরফে ট্রান্সফার চালু হয়েছে। এতে অনেক শিক্ষক-শিক্ষিকা, বিশেষ করে শিক্ষিকারা উপকৃত হয়েছেন। তারা অনেকেই শিশু সন্তান নিয়ে বাড়ি থেকে দূরে পোস্টিংয়ের জন্য বিড়ম্বনার মধ্যে ছিলেন। অনেকে স্বস্তি পেয়েছেন। এতে স্কুলগুলিরই লাভ হওয়ার কথা। কারণ বিড়ম্বনা মুক্ত হওয়ার পর তাদের আরো প্রোডাক্টিভ হওয়া উচিত। বাস্তবে হচ্ছে কিনা সেটা অবশ্যই গবেষণা সাপেক্ষ(?)। কিন্তু এই ট্রান্সফারের ফলে যেটা হয়েছে তা হল গ্রামাঞ্চলে অনেক স্কুলের ভারসাম্য হারিয়ে গেছে। শহরে এবং শহর সংলগ্ন স্কুলগুলিতে শিক্ষকের আধিক্য, গ্রামাঞ্চলে অপ্রতুল। হাইস্কুলে যেহেতু বিষয়ভিত্তিক শিক্ষকের প্রয়োজন হয় তাই অবস্থা সঙ্গীন । কোথাও অংকের শিক্ষক জীবনবিজ্ঞান পড়াচ্ছেন, কোথাও ভূগোলের শিক্ষক বাংলা। এমনিতেই নিয়মিত এস এস সি না হওয়ায় শিক্ষক ঘাটতি আছেই। এই সমস্যাটা যেন গোদের উপর বিষ ফোঁড়া। ব্যাপারটা সম্পর্কে পূর্বাহ্নে সতর্ক থাকা উচিত ছিল। কিন্তু কানাঘুষো সংবাদ বসন্ত বাতাসে উড়ছে যে ‘ধর্মতলার মোড় মিনি মিনি বাস বাস সব আমাদেরই জন্য’। ট্রান্সফার লাগবে? পছন্দের স্কুলে পোস্ট নেই? তো কি হয়েছে? কি পোস্ট , কার পোস্ট ! পোস্ট বড় না রামকৃষ্ণের ‘মাটি’ বড়?মাঝে তো কিছুদিন গাইনোকোলজিক্যাল সমস্যার মড়ক দেখা দিয়েছিল। কতজন দিদিমণি, কতজন দাদামনির স্ত্রী যে কত ভুগলো সে কি বলব ! সবাই এই এক কারণে ট্রান্সফার চায়।ব্যাপারটা গোপন বলে আপনি হয়তো করোনার মতো টের পাননি। শহরের একটি বয়েজ স্কুলে দশের বেশি দিদিমনি । জটায়ু থাকলে বলতেন হাইলি সাসপিসাস। যদি সমীরণ বার্তা সত্য হয় তাহলে নীতি তৈরি করেও লাভ কিছু হতো না। অবশ্য ভ্যাকেন্সি তৈরি করা সংক্রান্ত ১০০ পয়েন্ট রোস্টারটি নতুন সরকারি নির্দেশ মোতাবেকই টোস্টারে ফেলে দফা রফা করে দেওয়া হয়েছে।
আমরা বোধহয় মূল প্রশ্ন থেকে কিছুটা অন্যত্র সরে এসেছি। সমস্যা তো দেখা যাচ্ছে সর্বাঙ্গে। মূল প্রশ্ন আচার্যরা কি ঠিক মত তাদের কর্তব্য পালন করছেন? এক এক করে দেখা যাক। শিক্ষক কি স্কুলে আসেন? এলে কি সময়ে আসেন? ইতি উতি কাগজে খবর বের হয় শিক্ষকরা স্কুলে আসছেন না, দেরিতে আসছেন। দেরিতে আসার জন্য কোথাও বা অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাচ্ছেন। কথাটা একদম সত্য বা অসত্য কোনটাই নয়। এই সমস্যার অন্যতম কারণ যোগাযোগের উন্নতি ঘটার ফলে এখন প্রায় সব শিক্ষকই দূর থেকে যাতায়াত করেন। চাকুরীরত দম্পতির সংখ্যাও বেড়েছে। তারা একসঙ্গে থাকার জন্য স্কুল থেকে হয়তো বেশ খানিকটা দূরে থাকছেন।অনেকে বৃদ্ধ মা বাবার কাছে থাকার জন্য স্কুল থেকে দূরে থাকছেন।কেউ কেউ একশ কিলোমিটার বা আরো দুর থেকে যাওয়া আসা করেন।দূর থেকে আসার জন্য ছুটি ছাটাও বেশি লাগে। আর রাস্তায় ট্রেন বাস দশ বিশ মিনিট এদিক ওদিক হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। কিন্তু সার্বিকভাবে আসছে না বা সবাই দেরিতে আসছে এ কথা সত্য নয়। বুকে হাত দিয়ে বলাও যাবে না যে একদম অসত্য। কোন কোন স্কুলে ব্যাপারটা ‘ম্যানেজ’ হয়।
স্কুলে যে কত রকমের প্রকল্প চলে তা তো আগে শুনেইছেন। সবগুলি সঙ্গে কোনো না কোনো শিক্ষক যুক্ত থাকেন। এখন আবার সমস্ত রকমের কাজকর্ম হয়ে উঠেছে কম্পিউটার নির্ভর। শুধুমাত্র এইচ এম ও শিক্ষাকর্মীর পক্ষে কোনভাবেই তা সামলানো সম্ভব নয়। শিক্ষকদের সাহায্য নিতে হয়। কিছু শিক্ষক আবার এ ধরনের কাজ করতে পছন্দও করেন।কি ক্লাসে গিয়ে একই জিনিস বক বক করবো তার চেয়ে বরং এই ভালো। কেউ বা কাজ করতে করতে ছুটে গিয়ে ক্লাসটা ঘুরে আসেন। আবার বসেন কম্পিউটার। সে ক্লাসের মান কেমন হবে অনুমান করাই যায়। যারা এসব করেন তারা এক একজন ছোট ম্যানেজার হয়ে উঠেছেন । বিভিন্ন অফিসিয়াল কাজে বিভিন্ন শিক্ষক দক্ষ হয়ে উঠেছেন । কেউ গত বছরের নির্মল বাংলার ছবি এডিট করে এবারের নির্মল বাংলা সফল করছেন ।কেউ ডি আই অফিস টা দেখেন। সেখানে তার জানাশোনা। ইত্যাদি ইত্যাদি।স্কুল তো নয় অফিস চলছে। আগে কি এসব কাজ হতো না? এত না হলেও কিছু কাজ তো সবদিনই ছিল।তবে পড়াটা অফিসের থেকে গুরুত্বপুর্ন ছিল।কালের নিয়মে বোধহয় পাল্টে গেছে, চক্রবৎ পরিবর্তনন্তে।
আধুনিক মোবাইল যন্ত্রটি শিশুদের উপর কি প্রভাব ফেলেছে তা আগে আলোচনা হয়েছে।শিক্ষকদের অবস্থা কী ?শিক্ষকদের কিন্তু মোবাইলের ফলে পড়ানো, জানা, বোঝার ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়েছে। চট জলদি কোন বিষয় দেখে নেওয়া, কোন বিষয়ের উপর শিক্ষামূলক ভিডিও ছাত্রদের দেখানো ইত্যাদি ক্ষেত্রে অনেক সুবিধা হয়েছে। তারা নিজেরাও এর মাধ্যমে বিভিন্ন রকম জ্ঞান অর্জন করতে পারছেন। টি এল এম বানানোর পরামর্শ পাচ্ছেন। তবে এ ব্যাপারে অভিযোগও আছে। পুরানো দিনের শিক্ষক মহাশয়রা নাকি ক্লাসে ঘুমিয়ে পড়তেন। এমন গল্প আমরা অনেক শুনেছি বা পড়েছি। দিদিমণিরা নাকি ক্লাসে উল বুনতেন। এখন সেসবের বালাই একেবারে নেই ।কিন্তু এখন নাকি শিক্ষক শিক্ষিকা নির্বিশেষে ক্লাসে মোবাইল দেখেন। এটির অবস্থানও সত্য অসত্যের মাঝে। ছোটদের ক্লাসে ঘটনাটা বেশি ঘটে। কারণ উপভোক্তা হিসেবে তারা খুবই অসহায় । মোবাইলটি ছেড়ে ক্লাসে যাওয়া বাধ্য করা যায় না? সেটা করা খুব মুশকিল। ডাক্তারবাবুর বুকিং ,তার কনফার্মেশন, ফ্লিপকার্ট আমাজন ডেলিভারি সহ অনেক অনেক কাজে মোবাইল এমন অপরিহার্য হয়ে উঠছে যে হাগু করার সময়ও এই প্রিয়তমাকে ছাড়তে মন চায় না। তাহলে ছেড়ে ক্লাসে যাবে কি করে? শিক্ষক মহাশয়েরা কেউ কেউ অফ পিরিয়ডে মোবাইলে সিরিজ বা মুভি দেখেন, ব্যবসার হিসাব রাখেন,নূতন কি রান্না হবে ইউটিউবে ভিডিও দেখেন। যাবতীয় অনলাইন কাজ কেউ কেউ স্কুলেই সারেন। ফেসবুক, WhatsApp তো ক্ষুধা ,তৃষ্ণার মতই স্বাভাবিক প্রয়োজন এখন।অর্থাৎ শিক্ষকদের একটি বড় অংশের অফ পিরিয়ডের সমস্ত সময় জুড়ে থাকে মোবাইল । অথচ অফ পিরিয়ডটি কিন্তু থাকে শিক্ষা সংক্রান্ত ভাবনা, স্টুডেন্টদের ক্লাস ওয়ার্ক দেখার মত শিক্ষা সংক্রান্ত কাজ করার জন্য। অন্তত কখনো কখনো সেটা করা উচিত। শুধু স্কুলের সময়টুকু স্কুল কে দিলেই অনেকখানি ভোল পাল্টাতে পারে।কিন্তু হয়না। কেউ হন্তদন্ত হয়ে শেষ মুহূর্তে স্কুলে ঢোকেন। ক্লাসের মাঝ পথে বেরিয়ে বাড়িতে কাজে লাগা মিস্ত্রিকে ইনস্ট্রাকশন দেন।ইত্যাদি ইত্যাদি।
( পরবর্তী অংশ পরের পর্বে)
বাড়িতে বসেই সংগ্রহ করতে পারেন 👇
7 Comments
আচার্য দেব ভবর যুগ আমরা বহু বছর আগেই পেছনে ফেলে এসেছি।ব্রতী থেকে এখন সবাই খাতায় কলমে প্রফেশনাল। তবে কর্পোরেট প্রফেশনালিজম আশা করা বৃথা। স্কুলে কিছুই হচ্ছেনা একথা সর্বাংশে ঠিক নয়। নিরলস বাতিওয়ালার মতো এখনও অনেকে বাতি জ্বালিয়ে চলেছেন কোনো কিছু প্রাপ্তির আশা না করেই।
ReplyDeleteকিছুই না হলে তো উঠেই যেত।হচ্ছে তবে এফিসিয়েন্সি বড্ড কম।
Deleteবাতিওয়ালা ও আলোক প্রাপ্তদের গল্প আসবে 24 ও 25 তম পর্বে।আর একটু অপেক্ষা করুন।
একটু ভুল বলেছি 25 ও 26 তম পর্বে
Deleteযদিও গ্রাম শহরের তথাকথিত বিভাজন দ্রুত কমে এসেছে তবুও প্রত্যন্ত গ্রামীণ এলাকার ভালো মেধাবী শিক্ষার্থীদের আকাল দেখা দিয়েছে তা নয়। এখনও গ্রামজীবন অনেক অনেক মূল্যবোধ আগলে রেখেছে যা একজন শিক্ষার্থীর উত্তরণের পাথেয়। এদের সংখ্যা বাড়ানো জরুরি।তাই হলেই হয়তো চাকা ঘুরবে।
ReplyDeleteআপনারা হয়ত ভাবছেন এত নেগেটিভ কথা কেন?আসলে কিন্তু ভাবনা নেগেটিভ নয়।
Deleteচাকা ঘুরুক আমরাও এটা চাই। সেইজন্য সমস্যাগুলির স্বীকৃতি, সাধ্যমধ্যে সমাধান জরুরি।তারপর যা পরিবর্তনযোগ্য নয় তার মধ্যেই সর্বোত্তম চেষ্টা করতে হবে। এটাকেই পজিটিভ ভাবনা বলে মনে করি।
চাকার বিষয়টা যখন উঠে এলো তখন বলি , গড়গড়িয়ে গড়ানোর জন্য চাকার এক মসৃণ তল ভীষণ ভাবে প্রয়োজন। মুশকিল হলো যে তলে আমাদের চাকা গড়াতে হয় তা বেজায় অসমান, এবড়ো খেবড়ো। তাই চারিদিকের লোকজন যতই
ReplyDeleteহল্লা করুক সব সমস্যা ঐ গাড়োয়ানকেই সামলাতে হবে।
যা বলেছেন🙏
Delete