শব্দে গাঁথা মণি-মালা : ৭২ / সালেহা খাতুন
পিএইচ.ডি.-র বাসনা তো সেই ছিয়ানব্বইয়ের ডিসেম্বরে এম.এ. পার্ট টু পরীক্ষা দেওয়ার পর থেকেই চলছে। অন্নদাশঙ্কর রায় তখন প্রিয় লেখক ছিলেন। ‘সত্যাসত্য’ পড়ে তাঁকে চিঠিও লিখেছিলাম। উত্তর অবশ্য আমার হাতে আসে নি। তবুও মুগ্ধতা কাটে নি। অধ্যাপক বিমল কুমার মুখোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করলাম। পরিতোষবাবুও বিমলবাবুকে আমার গবেষণায় আগ্রহের প্রসঙ্গে বললেন। তখন অন্নদাশঙ্কর জীবিত আছেন। তিনি বললেন লিভিংকে নিয়ে কাজ করা যাবে না তবে একটা পিরিয়ড ধরে কাজ করা যেতে পারে। হিমবন্তবাবুকেও বললাম স্যার আমি আপনার অধীনে গবেষণা করতে চাই। স্যার বললেন আগে পায়ের তলার মাটি শক্ত করো। নেট/ স্লেট পাও। পিএইচ. ডি. করার ব্যয়ভার নিজে সামলানোর মতো পরিস্থিতি আসুক। আস্তে আস্তে সবই হলো। সে বৃত্তান্ত তো বিবৃত করেছি। কিন্তু চাকরি পাওয়ার পর একটা ব্যাপার শুনেছিলাম যে, যে বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীন কলেজে চাকরি করছি সেখান থেকেই পিএইচ.ডি. করতে হবে। সত্যিই তো “কাঁসাই তীরে থেকে গোদাবরী নিয়ে গবেষণা” করা বেশ মুশকিল!
অধ্যাপনায় ঢুকে নানান টালবাহানায় পিএইচ.ডি. নিয়ে তেমন চিন্তা ভাবনা করছিলাম না। কিন্তু ম্যাথমেটিকসের অধ্যাপক ড. তারাপদ মণ্ডল বললেন, “সালেহা পিএইচ.ডি. টা তাড়াতাড়ি করে নাও। বয়স বেড়ে গেলে আর করতে পারবে না। তখন দেখবে সবার পিএইচ.ডি. হয়ে গেছে, শুধু তোমারই হলো না।“ এই মোটিভেশনটা খুব কাজ করেছিল। তারাপদবাবু এমন একজন মানুষ যিনি আমাকে তেমনভাবে না চিনেই যেখানে যেখানে বিশেষ করে ব্যাঙ্কে পরিচিতি দিতে হতো চোখ বন্ধ করে সই করে দিতেন। অথচ বেশ কিছু কাছের অধ্যাপকদের কাছে এ ব্যাপারে অ্যাপ্রোচ করেও বিফল হয়েছি।
তারাপদবাবুর কাছ থেকে প্রেরণা পেয়ে আর রহিমদার আগেই বলে রাখা কথা থেকে একদিন ইউনিভার্সিটিতে চলেই গেলাম। বাংলা বিভাগে গিয়ে লায়েকবাবুর সঙ্গে দেখা করলাম। তিনি অনেকগুলো বিষয় দিলেন। কথাপ্রসঙ্গে সংসারের আর্থিকভার সম্পূর্ণ নিজের কাঁধে তুলে নেওয়ার জন্য তিনি আমাকে বললেন, “সালেহা এ অত্যন্ত কঠিন ভার। তোমার কাঁধ শক্ত আছে তো?” এমন করে কেউ বলেন নি। শুধু মেজো মেসো আমার ভবিষ্যত ভেবে বলেছিলেন, “মণির জীবন এ আবার অতিষ্ঠ করে তুলবে।” কে তিষ্ঠতে দেবেন না, তা বলাই বাহুল্য।
প্রফুল্ল রায়, অন্নদাশঙ্কর এবং সুনীতিকুমার চট্টোপাধ্যায় নিয়ে বিস্তর পড়াশোনার পর ঠিক করি ভাষাতত্ত্ব চর্চার বাইরে সুনীতিকুমারের সংস্কৃতি চর্চার যে বিপুল সম্ভার রয়েছে তা নিয়ে গবেষণা করবো। দিনরাতের ধ্যানজ্ঞান হয়ে গেলেন সুনীতিকুমার। অনেকটা কাজ এগিয়ে স্যারকে(লায়েকবাবু) দেখালে তিনি “সাহিত্য সংস্কৃতির তীর্থপথিক সুনীতিকুমার” শিরোনামায় কাজটি এগিয়ে নিয়ে যেতে উৎসাহ দেন।
২০০৪ এর ৭ ফেব্রুয়ারি বিদ্যাসাগর ইউনিভার্সিটি ইংলিশ টিচার কনসরটিয়াম আয়োজিত “দি সেভেন্টিনথ সেঞ্চুরি ব্রিটিশ লিটারেচার” শীর্ষক আলোচনাচক্রে যোগ দিলাম। মেদিনীপুর কলেজেই এটি অনুষ্ঠিত হয়। আর ক্যাম্পাসেই আছি। তার উপর বাংলা সাহিত্য পড়তে ও পড়াতে গেলে প্রাচ্য এবং প্রতীচ্য সব সাহিত্যের সঙ্গেই সংযোগ রাখতে হয়। সাহিত্য তো মূলে এক, শুধু ল্যাঙ্গুয়েজ দ্বারা আলাদা হয়েছে। বেশ সমৃদ্ধ হয়ে কোয়ার্টারে ফিরে দেখি পিতা-পুত্রী চাষবাসে ব্যস্ত। বিভিন্ন ধরনের ফুল-ফল চাষ করে কোয়ার্টার এরিয়ার জঙ্গল দূরীকরণে তখন আমরা ব্যস্ত থাকতাম। একটি মিনি জঙ্গলই বলা যায়। দরজা দিয়ে যখন তখন সাপ ঢুকে পড়ছে। কালো কালো জোঁক দেওয়ালের ফাটল বরাবর হেঁটে যাচ্ছে। বেডরুমের দেওয়ালে শুঁয়োপোকা আয়াস করে বেশ খানিকটা জায়গা দখল করে নিচ্ছে। ড্রেন দিয়ে লেজওলা ছোটো পোকা চলে আসছে। জানালা দিয়ে বিড়াল ঢুকে ঘুমন্ত শিশুর বুকের উপর শুয়ে পড়ছে। বড়ো বড়ো ইঁদুরের অত্যাচারে রোজ ফাঁদ পাততে হচ্ছে। ব্যাঙের তো কথাই নেই। কতবার ধরে জুলজি বিভাগে দিয়েছি। আর বেশকিছু কুকুর ছিল, আমাদের উপর যাদের অধিকারবোধ প্রবল ছিল। দরজার সামনে শুয়ে থাকতো। একটির নাম রেখেছিলাম লালু। ও আমাকে কলেজ প্রাঙ্গণে পৌঁছে দিত। বাইরে বাজারে গেলে সঙ্গে সঙ্গে যেত। পেঁচা-টিয়া-কাক-কোকিল-পায়রা -বুলবুলি-চড়াই-শালিক-
কাঠঠোকরা-মাছরাঙা-ছাতারে কী নেই সেখানে। একেবারে বায়োডাইভার্সিটি পার্ক।
চোরের উপদ্রবও ছিল। জানালা দিয়ে এটা ওটা টেনে নিত। কাচা কাপড় বাইরে মেললে নির্বাচন করে নতুন সবগুলি নিয়ে চলে যেত। এমনকি সখের বাগান থেকে কুমড়ো শাকের মাঁচা পুরো ফাঁকা করে দিত। চোখের সামনে ঘরের ভেতর থেকে সাইকেল টেনে নিয়ে চলে যাওয়ার চেষ্টাও বাদ ছিল না।
ওদিকে ২০০৪ এর ৯ জানুয়ারি জ্যেঠতুতো দিদি সাবেরা, যাকে বুবু বলে ডাকতাম; ছোটোবেলায় যার কোলে পিঠে মানুষ হয়েছি সে চলে গেল স্বামী সংসার সন্তান সব ফেলে। দুফোঁটা চোখের জল শুধু বরাদ্দ ছিল তার জন্য। কথায় বলে রাজায় রাজায় দেখা হয় তো বোনে বোনে দেখা হয় না, সত্যিই কাজের দোহাই দিয়ে শেষ দেখা হলো না। অথচ আমার সন্তান জন্ম নেওয়ার পর সাহাপুরে আমার সঙ্গে দেখা করে বুবু বলেছিল, “ আমাদের ছোটো মণির আবার কচি হয়েছে কেমন দেখো না।” সে সময় পরিবারের মানুষজন, বিশাখা, স্যার সবাই এসেছিলেন আমার সন্তানকে আশীর্বাদ করতে। শুধু আমার শ্বশুরবাড়ির লোকজন কেউ আসেন নি। অবশ্য দূরত্বের কারণে তাঁরা ফোনে খবরাখবর নিয়েছিলেন।
বুবুর মৃত্যুতে যেতে না পারার অন্যতম একটি কারণ ছিল, সেবছর কলেজে ন্যাক ভিজিটের তোড়জোড় শুরু হওয়া। ডিপার্টমেন্ট প্রোফাইল বানানোয় সাহায্য করা ও আরো অন্যান্য নানান কাজ। তখন কলেজের সব বিভাগে কম্পিউটার ছিল না। শ্রীলিপিতে গিয়ে টাইপ করাতে হতো। সারা বছর কঠোর পরিশ্রম করে, আমরা ২০০৪ এর অক্টোবরের সাত তারিখ মুখোমুখি হলাম ন্যাকের। তিন দিন টানা ভিজিট করেন ন্যাক পিয়ার টিম। কলেজ A+ গ্রেড পেলো। আর আমরা অনুপ্রাণিত হলাম প্রত্যেকে। নিজেদের বেটার ভার্শান নির্মাণে উদ্বুদ্ধ হলাম। সে সময় আমার ছাত্র অরূপ পলমল বর্তমানে সরকারি কলেজের অধ্যাপক আমায় বলেছিল, “ম্যাডাম আপনার সামনে এখনও অনেক কিছু করার সময় আছে। বই,প্রবন্ধ অনেক প্রকাশ পাবে শুধু সময়ের অপেক্ষা।” সত্যি শুধু শিক্ষকরাই নন, শিক্ষার্থীরাও প্রেরণা দিতে পারে। ব্যাপারটা আসলে ভাইস-ভার্সা। তখন আমার ঝুলিতে প্রকাশিত প্রবন্ধ-কবিতার সংখ্যা একটি কি দুটি মোটে। সেমিনারও তাই।
২০০৫-এ তাই এই গ্রাফটার উচ্চতা একটু বেড়েছিল। ঐ বছর ৫,৬ ফেব্রুয়ারি চলে গেলাম বাঁকুড়া জেলা সারদাসম্মিলনী মহিলা মহাবিদ্যালয়ে। উদ্দেশ্য “পারসেপশন অফ এনভায়রনমেন্ট এন্ড ইটস অ্যাপ্লিকেশন অন সাসটেনেবল রিজিওনাল ডেভেলপমেন্ট” শীর্ষক জাতীয় সেমিনারে যোগদান। সেবছর সর্বত্র পরিবেশ নিয়ে চর্চা খুব বেড়েছিল। এর আগে ২০০৩ এর ১৭ ফেব্রুয়ারি আমরা মহিলা কলিগরা – জয়শ্রীদি, দীপাদি, চন্দ্রিমা আমি গিয়েছিলাম গড়বেতা কলেজে “সাসটেনেবল লাইফস্টাইল উইথ রেফারেন্স টু এনভায়রনমেন্ট” শীর্ষক আলোচনা সভায়। বিদ্যাসাগর বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ভিসি সম্মাননীয় ড. সুশান্ত চক্রবর্তী ও অন্যান্যরা বক্তব্য রেখেছিলেন। এই সেমিনার থেকে ফেরার পথের ঘটনা আজীবন মনে থাকবে। দর্শনের অধ্যাপক দীপাদির বাবা রেলে চাকরি করতেন। তাঁর রেল সংক্রান্ত অভিজ্ঞতা অনেক। সেমিনার থেকে ফেরার পথে গড়বেতা স্টেশনে ঢুকতেই ট্রেন চলে এলো। টিকিট কাটা হয়নি, কিন্তু দীপাদি বললেন তোমরা ট্রেনে উঠে পড়ো। আমি গার্ডের সঙ্গে কথা বলে আসছি। তারপর রেললাইন ধরে নিজে ছুটে এসে ট্রেনে উঠলেন। গার্ড বা চালক টিটিকে পাঠিয়ে দিলেন। আমরা কোনো ফাইন ছাড়াই টিকিট কাটলাম। দুঃখের বিষয় দীপাদি মাত্র তিপান্ন বছর বয়সে অকালে চলে গেছেন।
🍂
২০০৫-এ বর্ধমান বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক স্টাফ কলেজে ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের জন্য আবেদন করেছিলাম। সে বিষয়ে খোঁজ নিতে ফোন করতেই ওঁরা বলেন কালকেই চলে আসুন। “রিফ্রেশার্স কোর্স অন এনভায়রনমেন্ট স্টাডিজ” শুরু হচ্ছে। সীট ফাঁকা আছে। সংসারী মানুষ। এক রাতের মধ্যে মেদিনীপুর থেকে বর্ধমানে প্রায় একমাসের জন্য যাওয়া দারুণ ঝক্কির ব্যাপার। তার উপর কলেজ থেকে পারমিশন নেওয়া! সব ব্যবস্থা করে দিলেন সুধীনবাবু। প্রিন্সিপাল স্যারের থেকে অফিশিয়াল অনুমতি নেওয়া, রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক দিলীপদাকে বলে বর্ধমানে সপরিবারে একমাস থাকার ব্যবস্থা সব কিছু। ৯ ফেব্রুয়ারি ভোরের স্টেট বাস ধরে ইংরেজির অধ্যাপক রাজেনবাবুর সঙ্গে কন্যাসহ সালাউদ্দিনকে নিয়ে যাত্রা করলাম বর্ধমানের উদ্দেশ্যে। সেখানে একটি বাড়িতে একমাস পেয়িং গেস্ট থাকলাম।
ইউনিভার্সিটিতে হেঁটেই যেতাম কৃষ্ণসায়রের ধার বরাবর হেঁটে। বর্ধমান শহরের মানুষজনকে খুব ভালো লেগেছিল। সারাদিন ক্লাস থাকতো তবে যে চারটি রবিবার ও সন্ধে পাওয়া গিয়েছিল তাতে ভ্রমণ মন্দ হতো না। একটা রবিবার গণদেবতা ধরে শান্তিনিকেতন চলে গেলাম। এম. ফিল. এর স্মৃতিকে জাগরুক করতে। ফেরার পথে কাঞ্চনকন্যা ধরলাম। অতোশত না বুঝে ভুল করে সাধারণ টিকিটে উঠে পড়লাম ট্রেনের রিজারভেশন কামরায়। টিটি এসে বললেন আপনারা তো কটন পোশাক পরে আছেন, অতএব কমফোর্ট ব্যাপারটা ভালোই বোঝেন। অতএব এ কামরায় উঠা উচিত হয়নি। নামারও সুযোগ নেই। বোলপুরের পর ট্রেন বর্ধমানেই থামবে। সঙ্গের শিশুটিকে দেখে এক যাত্রী ভদ্রলোক বললেন তাঁর সীটে বসতে। মার্চের দু’তারিখ ফিরে এলাম মেদিনীপুরে।
ছাত্র অরূপ যখন অধ্যাপক
একটা ফিনান্সিয়াল ইয়ার শেষ হতে মে মাসে চলে গেলাম কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের অ্যাকাডেমিক স্টাফ কলেজ আয়োজিত ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে। ওখানে এম. এ. ক্লাসের সহাধ্যায়ী বন্ধু মমতাজ, সিদ্ধার্থ ও আরো অনেককে পেলাম। মে-জুন জুড়ে এই প্রোগ্রাম চলে। এবার বাবা-মার কাছে সাহাপুরে কন্যাসহ চলে গেলাম। দাদু-দিদার আদর আর তত্ত্বাবধানে কন্যার ভালোই কাটলো। কিন্তু বিষাদ তো হর্ষের হাত ধরেই চলে। বড়োবাবু (জ্যাঠামশাই) চলে গেলেন এরই মাঝে। প্রোগ্রাম কোঅর্ডিনেটরকে ফোন করে জানালাম, তিনি বললেন আপনি একদিনের ছুটি নিতে পারবেন।
ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামে যোগ দেওয়া এবং ন্যাকের মূল্যায়নে এমনই অনুপ্রাণিত হলাম যে সে বছরই সেপ্টেম্বর মাসে আমার প্রথম বই “সীতারাম দাসের ধর্মমঙ্গল : হস্তীবধ পালা পাঠপরিচয় ও মূল্যায়ন” প্রকাশিত হলো কলকাতার বিবেকানন্দ বুক সেন্টার থেকে। ঐ বছর আরো দু’একটি সেমিনারে যোগ দিই আর নিজেকে বিভিন্ন দিক থেকে সমৃদ্ধ করে তুলি। তবে নভেম্বরের শেষ দুদিন কাঁথি প্রভাতকুমার কলেজে “থিয়েটার লিটারেসি – দি রোল অফ এডুকেশনাল ইন্সটিটিউশন” শীর্ষক আলোচনাচক্রে প্রথম মনোজ মিত্র, কৌশিক সেন প্রমুখের বক্তব্য সরাসরি শোনার সুযোগ পেলাম।
নিজের টেলিফোনের কানেকশন তখনও নেওয়া হয় নি। আমার গবেষণা নির্দেশক ড. লায়েক আলি খান অনেক চেষ্টা করে আমাকে খবর দিলেন “এ বছরই তোমার পিএইচ.ডি-র রেজিস্ট্রেশন হয়ে যাবে। তুমি যোগাযোগ করো।” ওরিয়েন্টেশন প্রোগ্রামের জন্য একমাস পিছিয়ে গেল আমার পিএইচ.ডি.-র রেজিস্ট্রেশন। অবশেষে দু’হাজার পাঁচের সাতাশে জুলাই রেজিস্ট্রেশন হলো।
1 Comments
সহজ সরল ভাবে সুন্দর বর্ণনায় নিখুঁত উপস্থাপন। জীবনের কথা শুনতে খুব ভালো লাগছে। আগামী পর্বের প্রত্যাশায় রইলাম।
ReplyDelete