জ্বলদর্চি

ভাঙা আয়নার মন/ পর্ব -২৮/মণিদীপা বিশ্বাস কীর্তনিয়া

ভাঙা আয়নার মন 
পর্ব -২৮
মণিদীপা বিশ্বাস কীর্তনিয়া 

|| পশুরা কখনও স্বপ্নই দেখে না... ||


 তাদের মুকুল ক্লাবের  বার্ষিক অনুষ্ঠানে চিত্রাঙ্গদা হবে এবার। নৃত্যনাট্য ছাড়াও দাদারা একটা নাটক করছে সেটা লিখেছে আবার দাদামনি। যদিও রোজ রোজ ছোড়দা তাতে নানান ফ্যাকড়া তুলবেই। ওই কারণেই কিছুটা করে সংলাপ রিহার্সাল দিতে দিতেই বদলে যাচ্ছে।বিষয় এমন কিছু না মফস্বলের কমবয়সী ক'জন ছেলে মেয়ে স্বপ্ন দেখছে পাল্টে দেবে সব বেনিয়ম যারা একটা নাটক করতেও চায়।আর নাটকের মধ্যে সেই নাটকটা নিয়েই যত বিপত্তি।
      কিছুক্ষণ আগেই এ নিয়ে বড়দের একচোট  হয়ে গেছে। ছোড়দামনি বলল অরু শোন, এমনিতে দাদামনিকে কস্মিনকালেও সে দাদা তো বলেই না  উল্টে নিরীহ গোছের দানি প্রায়ই ছোড়দার কাছে ধমক খায় ।এই যেমন খানিক আগে ছোড়দা বলল  শোন অরু,নাটকের ওই বিজন চরিত্রটার সংলাপ পাল্টানো লাগবে।ওকে বলতে হবে এই নাটক ফাটক করে কিছু হবে না। হক কথা।এইটা মিতু এক্কেরে ঠিক কইছস। এই নাটক করে কিছু তো হবেই না বরং ওই ফাটকটা হলেও হতে পারে। কোথা থেকে কিসের গন্ধ পেয়ে পুলিশ না লেলিয়ে দেয় কেউ! কাজেই ফাটকে ঢোকার সম্ভাবনা একটা থাকছেই।থামবি তুই! শ্রীনিবাসদা ফুট কাটতেই চটে যায় ছোড়দা। কথার মধ্যে ফালতু বকে গুলিয়ে দিস না।
      যা বলছিলাম তোকে অরু,সংলাপ এমন দে যেন নাটকের মধ্যে  নিজেরাই ওরা বুঝতে পারছে যে ওদের এই নাটকে মানুষের কথা আছে কিন্তু যাদের কথা ওরা বলতে চায় তারা তো এই নাটকের দর্শক বা শ্রোতা নয়। সংলাপে সেই তর্ক বা ঝগড়াটা রাখ তুই।নাটকের রোমান্টিক আইডিয়া থেকে বেরিয়ে গ্ৰামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিক ওরা ছ'জন।মানুষের সঙ্গে মিশে কাজ করুক যা এতদিন ধরে চাইছে ওরা।
     এভাবে চললে নাটকটাই হবে না।অরুও ফোঁস করে ওঠে।যা লিখেছিলাম রোজ রোজ পাল্টে তার খোল নলচে তো এমনিতে বদলেই গেছে।
      পরশু তুই বললি বলে নেতা হীরেনবাবুর সঙ্গে  পুলিশ কর্তার মদ খাওয়ার দৃশ্যটা ঢোকাতে হলো। তার আগের দিন ওদের দলটাকে ধরে পুলিশের অত্যাচারের সিনটা হিডেন করে স্রেফ অন্ধকারে চাবুকের আওয়াজ আর আর্তনাদ ঢোকাতে হলো। শেষের দৃশ্যটা তো একবার বলছিস বন্দুকের আওয়াজ আর আর্তনাদ ছাপিয়ে কোরাসে আলোর পথ যাত্রী গানটা বাজবে আর একবার বলছিস ঝিনির গলায় ওরে ভয় নাই ওরে ভয় নাই/কিছু নাই তোর ভাবনা...কবিতাটা বাজবে! আ্যতো ইনডিসিশানে ভুগলে আমার দ্বারা আ্যট লিস্ট সম্ভব না। তোরা যে কেউ এটার দায়িত্ব নিতে পারিস। উত্তেজনায় স্ক্রিপ্টের খাতা বগলে দানি দাঁড়িয়ে পড়ে।
      স্ক্রিপ্ট পাল্টে গেলে কী আসে যায় বল ;আমরা কী বলতে চাইছি সেটাই সব নয় কী? দেওয়ালের দিকে তাকিয়ে মিতুও গম্ভীর।শেষ দৃশ্যে দুটোই থাকবে অরুদা, চিন্তা করিস না ছোট বুলাদা বলল। আশ্চর্য!বুলা নাম তো মেয়েদের হয় অথচ তাদের এই মুকুল সাংস্কৃতিক সংস্থায় দু' দু'খানা বুলাদা।       
      প্রথম প্রথম ঝিনিরা সবাই তাদের ওজন অনুযায়ী মোটা বুলাদা আর পাতলা বুলাদা ডাকা ধরেছিল কিন্তু সেই ডাক কানে যেতেই বাড়িতে মোটা বুলাদার মা নাকি খাওয়াদাওয়ার রাশ টেনে ধরে।একদিন ক্লাবে এসে মোটা বুলাদা কেঁদে পড়ল;  ওরে তোরা কি আমায় না খাইয়ে মারবি! রাতে এট্টুস একবাটি ডাল আর হাবিজাবি তরকারি দিয়ে মাত্তর করে চারখানা রুটি! ওরে আমি কি আর বাঁচব রে হাউমাউ!শেষটায় বয়স অনুযায়ী বড় বুলাদা আর ছোট বুলাদাতে রফা হলো। তাদের দলের সবার চাইতে মাথা ঠাণ্ডা মানুষ হলো ছোট বুলাদা।
        দানি ভয়ানক মেজাজ খারাপ করছে দেখে ছোট বুলাদা বলল,অরুদা তোর স্ক্রিপ্ট অনুযায়ী ওরে ভয় নাই ওরে ভয় নাই ওরে ভয় নাই/কিছু নাই তোর ভাবনা/যে শুভ প্রভাতে সকলের সাথে মিলিবি পুরাবি কামনা/আপন অর্থ সেদিন বুঝিবি/জনম ব্যর্থ যাবে না...এইখানে ঝিনি শেষ করবে আর তিরিশ সেকেন্ড মতো কমল কাকার ম্যাণ্ডোলিন যদি বাজে তারপর আলোর পথ যাত্রী গানটা দিয়ে শেষ করলেই হলো তাছাড়া তোকে বাদ দিয়ে এই নাটক সম্ভব? পাগল না পেট খারাপ? ছোট বুলাদা দানিকে হাত ধরে টেনে বসিয়ে দিল।তবে মিতু যেটা বলছে মানে ইয়ে আমরা সবাই যা বলতে চাই আর কি মাথা ঠাণ্ডা করে তুই ভেবে দ্যাখ অরুদা তোর কলমেই কিন্তু সেটা ঠিকঠাক বেরুবে।
      একটা কথা মিতু, লম্বা বিনুনিটা পিঠের দিকে ঠেলে দিতে দিতে অহনাদি বলল,এই যে তুমি এত সব গুলির আওয়াজ,আর্তনাদ ইত্যাদি ছাপিয়ে কবিতা বা গান রাখতে চাইছো এতগুলো আওয়াজ তুমি নাটকে ব্যবহার করবি কিভাবে? টেপ রেকর্ডার ব্যবহার করতে হবে।পাবে কোথায়? চেষ্টা করতে হবে জোগাড় করার।
         কী ওরা বলতে চায়? ঝিনি ভাবে মানুষ মানে কারা? শহর ছেড়ে গ্ৰামে গেলেই তাদের দেখা পাওয়া যাবে?  হোল টাইমার মানেও বা কী?
       মাঝে মাঝে তাদের বাড়িতে যে ভানুদা বলে অনেক বড় এক দাদা এসে দু'এক রাত থেকে যায়। আর দাদাদের সঙ্গে মিটিং করে ঝিনিরা উঁকি দিলেই ধমকে তাড়িয়ে দেয়; কী একটা পিপলস ফ্রন্টের কথা তার মুখেই আবছা শুনতে পায় তারা সেই ভানুদা নাকি হোল টাইমার।ক'টা মোটে জামাকাপড়, একটা গামছা,একটা চিরুনি, ছোট দুটো শিশিতে একটু করে নারকেল আর সর্ষের তেল আর বিড়ি দেশলাই ব্যাস,একখানা ঝোলা ব্যাগে এইটুকুই ভানুদার সংসার।
     তুমি কক্ষোনো নিজের বাড়িতে যাও না ভানুদা?তাকে দেখলেই ঝিনির মায়া লাগে। বাড়ি থাকলে মায়ের মুখ ঝামটা বাঁচিয়ে সে আগেভাগেই ভানুদাকে ভাত বেড়ে দেয়।কেন যাব না?যাই তো বছরে এক দু'বার ভাত মাখতে মাখতে ভানুদা উত্তর দিয়েছিল।হোল টাইমার মানে কী ভানুদা?আর একটু বড় হও তখন বলব ভাতের গেরাস মুখে ভানুদা হাসছিল।ভানুদাও নাকি গ্ৰামের মানুষদের মধ্যে কাজ করে।
        শহরের লোকরা তাইলে সেই সব মানুষজনের মধ্যে পড়ে না যাদের সঙ্গে কথা বলতে চায় নাটকের বিজনরা? ওরা কি হোল টাইমার হতে চায়?
         কিন্তু এসব এখন জিজ্ঞেস করলে  ছোড়দার মাথার মধ্যে যে বোমাটার সুতোয় আগুন লেগেছে সেটা এক্ষুণি ফাটবে আর সবার সামনে যা নয় তাই বলে দেবে ঝিনিকে। নাটকে শিপ্রা আর বর্ণালী নামে দুটো মেয়ে আছে।ঝিনি আর অহনাদি  মিলে করে।কাল সে শিপ্রার রোলটা করতে গিয়ে হেসে ফেলেছিল বলে চড়ও খেয়েছে ছোড়দার।
     কী রে মিতু এণ্ড কোং কদ্দুর এগুলো তোদের?কমল কাকা এসে পড়ল তার ম্যান্ডোলিন নিয়ে।আপাতত বাকবিতণ্ডা মুলতুবি রেখে ওরা কাকার বাজনা নিয়ে পড়ল।
  ছোট বুলাদা গত সপ্তায় গেছিলো ভুলুকাকার কাছে টেপ রেকর্ডার চাইতে। চেনা শোনার মধ্যে ভুলু কাকার কাছেই শুধু টেপ রেকর্ডার আছে।  ভুলুকাকার মামা শ্বশুর বিদেশে থাকার দরুন বিয়েতে কাকা ওটা উপহার পেয়েছে।   
       একে মনসা তাতে ধুনোর গন্ধ বুঝলি না? ছোট বুলাদা হাত ঝাড়তে ঝাড়তে রিহার্সালের আগে ছোড়দাকে বলছিল, এমনিতেই ভুলু কাকা স্বার্থপ্পর আর অহংকারী তার ওপর বিয়ে করে বিদেশে থাকা মামা শ্বশুরের কারণে আরও নাক উঁচু হয়ে গেছে। কলেজে পড়ায় লোকটা অথচ নগদ পণ নিয়েছে তা জানিস?ওর কাছে যাওয়াই ঠিক হয়নি। আস্ত হিপোক্রিট একখানা।
        হিপোক্রিট বলছিস কেন ভুলু কাকাকে? সে তো মস্ত একজন গ্ৰিক দার্শনিক।জি কে'র বইতে আছে, ঝিনি গম্ভীর মুখে ছোট বুলাদাকে বলল। ফালতু জি কে বই পড়ে পড়ে তোর বদহজম হয়েছে।কটাৎ করে ছোড়দার গাট্টা পড়ল মাথায়। ওরে হাঁদারাম দুটোর বানান আলাদা। একটা হলো প্রপার নাউন মানে যার কথা তুই বলতে চাইলি আর একটা আ্যডজেক্টিভ মানে ভণ্ড যেটা বুলা বলছে। ঠিক আছে বুলা ম্যায়নে ভি ছোড়নেওলা নেহি। পরশু ধর্মতলার দোকানে জিজ্ঞেস করেছিলাম।সাতশো বলছে। আড়াইশো মতো আছে আমার হাতে।মাস তিনেক তো সময় আছে এখনো। টিফিন বাদ এই কটা দিন। দু'বেলা বিভূতিদার ভাত এমন ঠেসে খেয়ে নেবো ওসব টিফিন মিফিনের দরকারই লাগবে না।দেখা যাক পারা যায় কিনা। এখন বাদ দে ওসব। 
    আমার কাছে দেড়শো মতো হবে।এই তিন মাসে আরও কিছু জমে যাবে না। হস্টেলে তোমার টিফিন বন্ধ মিশন আপাতত তোলা থাক। পেছন থেকে অহনাদি বলে উঠল।
           ছোট বুলাদা আর ছোড়দার কথা শুনে অব্দি ঝিনিও ভাবছিল মেডিকেল কলেজেরই পড়াশুনো আর সপ্তাহান্তে দৌড়ে আসার মতো খাটাখাটনি অথচ যা জেদ নিশ্চয়ই  ছোড়দা টিফিন খাবে না। আমার লক্ষীর ঘটে একশ টাকা আছে ছোড়দা। গোলাপ বালা পুরস্কার পঁচাত্তর টাকা আর পঁচিশ জমিয়েছি।
       এইট থেকে নাইনে ফার্স্ট হলে পঁচাত্তর টাকা গোলাপ বালা স্মৃতি পুরস্কার পাওয়া যায়। গরমে যার আম বাগান তছনছ করে তারা  সবাই সেই ধীরেন ঘোষ তার মায়ের নামে প্রতি বছর ক্লাস সিক্স আর নাইন আর মাধ্যমিকে সব'চে বেশি নাম্বার পেলে এই পুরস্কার দেন।
        আচ্ছা বেশ সমবায় প্রথায় আমাদের টেপ কেনা হবে। ছোড়দা দু হাত উঁচু করে হাসল।কমল কাকার ম্যাণ্ডোলিন আর ট্রেন চলে যাওয়ার শব্দও রেকর্ড করে কাজে লাগানো যাবে তাইলে।অহনা দ্যাখো তো একটু চা পাওয়া যায় কিনা,চ' বুলা বাবলা তলায়  ঘুরে আসি চ'। মিতুদের ডাক।   
       বুলিদের চিলেকোঠা থেকে বড় মাঠের দিকে নেমে গেল দাদারা।লুকিয়ে বিড়ি বা সিগারেট টানবে ওরা এখন।   
      অহনাদি আর বুলি নিচে গেছে সবার জন্য চা বানাতে।বটানি নিয়ে অহনাদি পড়ে কলকাতার যোগমায়া কলেজে। মেয়েদের একটা হস্টেলে নাম লেখা থাকলেও এখানে  কাজ থাকায় বেশিরভাগ দিনই সে বসিরহাট দিয়ে বাসে যাতায়াত করে।  
        তাদের মুকুল ক্লাবের মণিমেলা তো অহনাদি আর ছোট বুলাদা মিলেই চালায়।সপ্তার মাঝখানেও ছোড়দার হস্টেল থেকেও নানান নির্দেশ সে বয়ে আনে। ছোড়দা টিফিন খাবে না শুনে অহনাদির   চোখে কী এক মমতা ফুটে উঠতে দেখেছে আজ সে। সবাই তুই তুই করে বললেও ওরা দুজন তুমি করে বলে নিজেদের এটাও খেয়াল করেছে সে।
       কেন তা  জিজ্ঞেস করাও যায় না কাউকে, অবশ্য সাদামাটা কোনো তাঁতের শাড়ি পড়া লম্বা বিনুনি করা অহনাদিকে ঝিনির বেজায় পছন্দ ।কোঁকড়া চুলে ঘেরা শান্ত আর গম্ভীর মুখে কী এক ম্যাজিক আছে মণিমেলার সবাই তাকে মানেও খুব। আজ রিহার্সালে এসেই ব্যাগ থেকে তার আরন্যক বইটা বের করে অহনাদি পড়তে নিয়েছে।কী ভালো জোছনা আর জঙ্গলের বর্ণনা যে অহনাদি, ভাবতেও পারবে না একেবারে কবিতার মতো! আরন্যক পড়ে কবিতার মতো লাগাটাও বেশ ভালো একটা ব্যাপার ঝিন ঝিনিয়া!অহনাদি হেসে তার পিঠ চাপড়ে দিলে খুশিতে গুলগুল করে ওঠে সে।

🍂

        ঝিনি শোনো, বড়দের গোলমাল আর চা বিরতির ফাঁকে সে ছাদের আলসেয় শোওয়া বুলির বেড়াল ভটকাইকে চটকে মটকে আদর করছিল।এসব অশৈরণ ভটকাই যদিও খুব একটা পছন্দ করে না। শেষ বিকেলের রোদে তার মৌতাত নষ্ট হওয়ায় বিরক্ত হয়ে আধা চোখ খুলে  ম্যাও করেই যথেষ্ট পরিশ্রমে ভটকাই চোখ বুজে ফেলল।আলসে একটা ভটারাম তুই বলে ঝিনি তাকে কোলে নিতে নিতে কলির দাদার ডাক শুনে চমকে ঘুরে দাঁড়ালো।
            তুমি আমায় দেখে পালাও কেন বলো তো?আচমকাই বুলিদের খোলা ছাদে পেছন থেকে সামনে এসে দাড়ালো ধ্রুবদা।তোমার সামনে এলেই দেখি দৌড় লাগাও তুমি।এর কারণ কী?ধ্রুবদার প্রশ্নে ঘাড় বাঁকিয়ে ভুরু কুঁচকে না তো! পালাবো কেন? ওরা আমায় ডাকল তো বলেই হুড়মুড় করে নিচে নেমে গেল ঝিনি।
       বিড়ি ফুঁকে সাই বাবলার তলা দিয়ে দল বেঁধে ফিরছিল দাদারা।খোলা গলায় গান ভেসে আসে ওদের ...মিথ্যে কথায় আগুন যে জ্বলে না ...পশুরা কখ স্বপ্নই দেখে না... জননী গো এসো পাথরের মতো নিটোল সত্য বলি... হিমালয় হয়ে ভোরের আকাশে জ্বলি... যেন মাথাটা নোয়াই না... 
       সিঁড়ি দিয়ে দৌড়ে নেমে আসার উত্তেজনায় হাঁপাচ্ছিল ঝিনি।বুলিদের এই সিঁড়ির তলাটা খুব বেশি ঠাণ্ডা নাকি গানের কথাগুলোই নতুন করে কাছে আসতেই গা শিরশির করে উঠল তার।

Post a Comment

0 Comments