সৌরভ পাত্র
উৎসব
আঁধার রাতে জ্বলছে মশাল শাল পিয়ালের জঙ্গলে
উৎসবে ফিরছে সবাই আবালবৃদ্ধবনিতা দলবলে
রপ্ত মানুষ তপ্ত ফানুস সারি সারি আকাশপানে
ওরে ভাই দেখো দেখো ফানুস যে আকাশ ছুঁতে জানে!
ছুঁতে ছুঁতে ছোঁয়াচে রোগে সর্বস্ব হলো যে আজ কাল
কালের নিয়মে বুড়ো ভাম ঠিক হন্যে হয়ে খোঁজে তাল
তালে তালে কোমর বেঁধে মুখে মুখ দিয়ে শিল্পী আঁতাত
শিল্পের কারুকার্যে দেখো দেখো বিনা মেঘে পড়ে বজ্রপাত!
অজানার পথে মিলি
আমি আর আমি নেই ঠিক যেন সুপ্ত...
জগৎ আর জগৎ নেই খোঁজ করে গুপ্ত!
স্বামী আর স্বামী নেই স্ত্রী বলে আসামী...
রাজা আর রাজা নেই ঠিক ভুলে আগামী!
মানী আর মানী নেই হায়না করে হানা...
জানি আর জানি নেই ভয়ে'তে আধখানা!
চিনি আর চিনি নেই শরমে মরমে চুপ...
অজানার পথে মিলি একসাথে জ্বালি ধুপ!
🍂
ভালোবাসা ধর্ষক হলে
শুনেছি আমি কত শত চিৎকার
বেদনাবিধুর বুকে
দু'মুঠো খাবারের চোটে এদিক ওদিক ছোটে ঝুঁকে ঝুঁকে!
কখনও কি দেখেছো তুমি কথা'রা ব্যথা হয়ে বুমেরাং আজ
মনে হয় যেন এই আছি এই নেই এই বুঝি পড়লো মাথায় বাজ!
রক্তে রাঙা জবা আজ কেমন যেন বোবা আব্রু লুটিয়ে পড়ে
ভালোবাসা ধর্ষক হলে দাউ দাউ করে আগুন জ্বলে খড়ে!
খড় আমার ঘরের চালে বেখেয়ালে আত্মদহনে পুড়ে ছাই
উন্মুক্ত আকাশটুকু শেষ ভরসা এই জীবনে কখন যে সেখানে যাই!
দৈববাণী
ব্যস্ত শহর ক্লান্ত পথিক ভাগ্যের এ কি পরিহাস
কথা'রা শ্বাসাঘাতে আহত সুখের ছোঁয়া সর্বনাশ
মৃত্যু সম্মুখে অগ্রসর সেতু গড়ে তোলে সখের বর্ম
দক্ষ জনের মুখে শুনি দৈববাণী 'আপনি আচরি ধর্ম...!'
বেঁচে থাকার গান
আগন্তুক মিলন খানিকটা মন খারাপের দিনে
ঢেউয়ে ঢেউয়ে তাল মিলিয়ে তালে তালে নাচ;
শব্দ শোনা যার চিরকালের অভ্যেস সেই উঁকি
মাঝখানে অতি বিস্তর ফারাক আর একটা কাঁচ!
ব্যথার পাহাড়ের কোলেই বেড়ে ওঠা উপত্যকা
লোহিত সাগরে মিশে যায় হাজারো যন্ত্রণা লাঘব করে;
এক সমমনস্ক গর্ভবতী হঠাৎ মাতৃত্বের স্বাদ মিষ্টি বলে
0 Comments