চাই চিৎকার
গৌতম বাড়ই
চিৎকার চাই
চিৎকার!
চিৎকার!
বুকফাটা চিৎকার
মানুষের অধিকার কেড়ে নেবে ভুয়ো গণতন্ত্র
তুমি কিসের কবি? সাংবাদিক? শিল্পী? নাট্যকার?
মেকী তুমি কিংবা আড়ষ্ট ভণ্ড
বুকের ভেতরে শুকনো ঘাস
একটু না হয় মুখ ঘুরিয়ে বেশি পড়েছো জেনেছো
তাই এত হাঁসফাঁস
অহঙ্কার
যে ছেলেটির শুকনো মুখ ভবিষ্যতের চাঁদ ম্লান
মা-বোনেরা প্রতি ঘরে থাকে আমাদের
প্রতিদিন ফেরো নিজেদের ঘরে
ভালো করে মুখগুলি চেয়ে দেখেছ কখনো?
দেখবে ঐ মুখ এখন মহানগরীর মূর্তির
পাদদেশে বসে আর শুয়ে
কষ্ট বড় কষ্ট !
এ মহানগরী আজ বড় মৃত
কে বলেছে কল্লোলিনী তিলোত্তমা!
আলোকের ঝঙ্কারে সুর কেটে যায় যত
কে কত কামিয়েছে হিসেব শুনি অবিরত
ঠিক ঠিক সৎ হতে গেলে
কত সম্পদ লাগে নিজস্ব তহবিলে?
এত নির্বাক হয়ে যায় পারিতোষিক পেলে
এক-একটা সুস্থ মস্তিষ্ক আজ জড়দগব
কত কত ক্ষমতা আর সম্পদ পেলে
এই মিথ্যের আবরণে ঢাকবে নিজেদের
আসলে মানুষের চেয়ে নিজেকে ভালবেসেছে
এরা চিরদিন
ক্রমে ক্রমে তাই
চাই
চিৎকার
দূর থেকে যা শোনা যায়
এখন আঁধার রাত কষ্টে বুক ভেঙ্গে যায়
কখনও কখনও কাব্যকে ছুটি দিতে হয়
সোজাসাপ্টা দিনলিপি লিখে যেতে হয়
গরাদের ভেতর যে মেয়েটা মারধরের
পর অব্যক্ত যন্ত্রণায় ঘুমহীন রাত
দেখি চুপিচুপি নিজের মেয়ের মুখচ্ছবি
মেলাই সারারাত ঘুমহীন
হাজার হাজার কামড় ধেয়ে আসে সারাশরীরে
সারারাত পরে লাখো লাখো
ক্ষতবিক্ষত আমি এই কুম্ভীর সকালে
দেখে দেখে দেখে
অবাক পৃথিবীর মতন
এক কৃষ্ণ গহ্বরে তলিয়ে যাচ্ছি
সারা গায়ে আলো নেই অন্ধকারের মতন জামা
এখানে চৌর্যবৃত্তি প্রাণপ্রতিষ্ঠা পায়
এখানে অসামাজিকতা সামাজিক আধার
আবার এখানে
রামকৃষ্ণ মঠ মিশন বেলুড় স্বামীজী দুর্গামায়ের
অপূর্ব সহাবস্থান
তাই মুখ ঘুরিয়ে আমার নিদ্রালু চোখে
অকল্পনীয় জগত আঁকবো মনের কালিতে
আর কবিতায় ছড়িয়ে দেব বিশ্বভুবনে
তারচেয়ে ভালো
দীর্ঘ এক কাব্যিক ছুটি চাই
গলা ছেড়ে চাই একটা চিৎকার
চিৎকার!
যেখানে গলবে আমার লাভাস্রোতের মতন
যাবতীয় যত দুঃখ কষ্ট শোক
সম্পদ চাই না
আরও আরও সৎ হতে চাই
আর এমন একটা মানুষ হতে চাই
যে মানুষটা অনায়াসে মিশে যেতে পারে
হাজারটা মানুষের দুঃখ কষ্ট আনন্দের মাঝে
যেখানে
চিৎকারে চিৎকারে মেলাব গলা
এই আমি
করি চিৎকার ! চিৎকার!
6 Comments
Very very nice
ReplyDeleteঅনেক ভালো লাগলো ভাগ্নীজী।
Deleteসুন্দর একটি প্রতিবাদী উচ্চারণ। ভালো লাগলো কবিতাটি।
ReplyDeleteধন্যবাদ রইলো।
ReplyDeleteখুব সুন্দর
ReplyDeleteখুব সুন্দর
ReplyDelete