পাঁচটি কবিতা
রেবা সরকার
নিদারুণ শীত পাহারায়
বরফের উপর পা পিছলে গেলে আমার হাত ঝট করে ধরে ফেল
মনে হয় পা আর মাথার গুরুতর সম্পর্ক
সম্পর্ক থাকে থাকে না
জটিলতা স্বাভাবিক করে একমাত্র ভালোর সম্পর্ক
তুমি তোমার গভীরতা তুলে রেখোছো
যদিও প্রাধান্য দিয়ে যাও
একটি কবিতা হলুদ পাতা
ভালোবাসার কাছে সব সম্পর্কই এক
বরফ দেখতে যাইনি অনেক বছর
শীতকাল পাহাড়ের খাঁজ
একটি রাস্তা মানুষ
মনের না বলা কথা পুনরায় অলস দুপুর
এই যে বোঝাপড়া
সুমেরু থেকে কুমেরু
অর্কপ্রভ মত প্রকাশের দৃশ্যরত সে বস্তু
আমি কি জানতে কি জেনে যাই
এই অঞ্চল থেকে এক মুঠো ফসল তুলে নিলাম
এই মার্কিন ডলার আমার পুত্রের পাঠানো
হাতটা তার তারিখ গুনতে পারে কিন্তু
মস্তিষ্কের একটি অংশ বায়োমেডিকেল আর
শিরদাঁড়া নড়বড়ে না হতেই একটুকরো আলো ছুড়ে দেয় মুখে
আমার মুখ আর পুত্রের মুখ একরকম
সবাই জেনে যায় কুমেরুর জলবায়ু
একপ্রকার আয়না
প্রতিটি দিন তার দিকে তাকিয়ে থাকি
জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন। 👇
সংপৃক্ত রস
নতুন লেবু গাছের একেকটি পাতায়
মসৃনতায় আবেশ করা সবুজ রঙ
গন্ধে ভরা আবরণ লোলুপ বিন্দু রসায়ন।
আবরণ খুলে রাখি...
পাতার কোনো দোষ নেই
লেবু রসে যাতনা যতো
ভাতের সাথে ডালের ভালোবাসা।
জিভ সম্পৃক্ত রসে
লেবুর বেঁচে থাকার আস্বাদ।
হায় ভাত! জল টলোমল।
হায় ঘুম! আঁখি পাগল।
ম্রিয়মান হতে হতে কোনো একদিন
পাখি হয়ে উড়ে যাব...
শহরের গাছ
তুলে ধরতে হয় না হাত পা আছে
নীরোগ হাত পা
আছে বাসস্থান জল ও আগুন
সম্পৃক্ত আবরণে ঘুম
মুখের কাছে ছায়া অমলিন
সেই স্বপ্ন দেখার মতো হাতপাখা
চোখ মুছে দেওয়া আকুলতা
বাদামের খোসায় টুকরো বাদাম
তাই দিয়ে শরীরে চিহ্ন আঁকা
শহরে একদিন হঠাৎ ঝড়
তুমুল ঝড় লেখা হয় অজস্র কবিতা
লিখতে লিখতে ঝড় থেমে যায়
চুপচাপ চারপাশ ঘিরে ফেলা
সেই আহবান
ভাষা দাও এক ঝুড়ি বাংলার খাঁচা ভরি
হয়ে যাক গাঁথা কবিতা
পরজন্ম যদি হয়
আমি গাছ হবো শহরের
পৃথিবীর জন্য
পথ থেকে সরে গিয়ে জলের মুখোমুখি
ভাসমান আলো একবিংশ ধোঁয়া
ফালাফালা চাঁদ ঝিকমিক
চক্ষু পারাপার নিজস্ব নদী
এখানে নিদারুণ পাখিদের গান
এখানে স্বর্গ জোছনা
গতিহীন চাঁদ
ঢলে পড়া উতল বাতাস
পথ পরিক্রমা করে একবার
ফিরে আসি শহর কাছাকাছি
নির্জনে আমি ভালোবাসি
পথ থেকে সরে গিয়ে জলের আয়নায়
জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে 👇
2 Comments
শহরের গাছ, সংপৃক্ত রস ও পৃথিবীর জন্য এই তিনটি কবিতা আমার ভালো লেগেছে। রেবা, তোমার কবিতাগুলো সত্যিই খুব সুন্দর।
ReplyDeleteধন্যবাদ আপনাকে
Delete