জ্বলদর্চি

ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা ১৬২

ছোটোবেলা বিশেষ সংখ্যা  ১৬২
সম্পাদকীয় 
কি ঠান্ডা জাঁকিয়ে পড়েছে কিনা! আর তারসঙ্গে পাল্লা দিয়ে কুয়াশারা ভিড় করছে তো সকালবেলা জানলা দরজায়? তার পরেই রোদের হুটোপাটি। এসব নিয়ে ছড়া লিখেছে সুব্রত আঙ্কেল। আর শীতের সঙ্গে সঙ্গে আসে পিঠে পায়েসের গন্ধ। অনেক জেলায় সেই উপলক্ষে হয় দেশপুজো। তারই ছবি পাঠিয়েছে সুদীপ আঙ্কেল। এটা তো এবারের প্রচ্ছদ। সেদিন প্রচ্ছদে যে হলুদ পাখিটা এসে বসেছিল সেটা নিয়ে ছড়া লিখেছে রঞ্জনা পিসি। এদিকে স্মার্টওয়াচ হারিয়েছে রামসিং। তারপর? বলব না। পড়ে নিও শ্রীকান্ত আঙ্কেলের লাচুঙের নেকড়ে। রহস্য বেশ ঘনীভূত হয়েছে। তার আগে বলে নিই মাত্র দু একদিন আগেই স্কুলে স্কুলে পাড়ায় পাড়ায় পালিত হল যুব দিবস। কত নিবন্ধ আঁকা প্রতিযোগিতা হল ক্লাবে ক্লাবে। তোমাদের বন্ধুরা জয়দীপ, রুদ্রাংশ আর অর্পিতা তাই স্বামীজির আঁকা পাঠিয়ে আমাদের পত্রিকাকে আরো সুন্দর করে দিল। তোমরাও আঁকা আর লেখা পাঠাও আমাদের ছোটবেলার দপ্তরে। আর সেগুলো পড়তে পড়তে ছোটবড়ো সকলেই পিঠে পায়েস খাক রোদে পিঠ দিয়ে। এ স্বাদের ভাগ হবে না।  ---- মৌসুমী ঘোষ

ধারাবাহিক উপন্যাস
লাচুঙের নেকড়ে
শ্রীকান্ত অধিকারী

পর্ব - একত্রিশ 

হঠাৎ একটা ধারালো তরোয়ালের মত আলোক ছটা ছুটে এসে অন্ধকার ঘরটাকে আলোকিত করে তুলল। সঙ্গে সঙ্গে ঝিমন্ত রামসিঙের মাথাটা সোজা হয়ে উঠল। চোখে ভাল দেখতে পাচ্ছে না। কেমন ঝিমুনি ভাব। কতক্ষণ এমন অন্ধকার ঘরে আটকে আছে কে জানে। এখানে তো তার স্মার্টওয়াচটাই কবে ওরা কেড়ে নিয়েছে। আহা কি সুন্দর ছিল!-কি ছিল না, কেউ ফোন করলে ধরতে পারত, কতটা পথ হাঁটল দেখাত। এমন কি হার্ট বিটের সংখ্যাও জানিয়ে দিত। ছোট মামা গিফট দিয়েছিল। এখন এখান থেকে বেরোনোটাই যেন একমাত্র চিন্তা হয়ে গেল। ঝিমুনি অবস্থাতেই একবার ফিসফিস করে ছোটমামা ছোটমামা করে ডাকল। কিন্তু কোনো সারা পেল না। কোথায় আছে জানে না। কী করব ভাবছে ঠিক তখনই তীব্র ঠান্ডা জলের এক ঝাপট এসে মুখে চোখে আছড়ে পড়ল। অত্যন্ত বিরক্ত হয়ে মুখ ফুটে বলেই ফেলল, আর সহ্য হয় না। তোমাদের দরকারটা তাড়াতাড়ি সেরে নিলে হয় না! কিন্তু কাকস্য পরিবেদনা! একটু খানি পরে ঘোর কেটে গেলে আস্তে আস্তে দেখে সামনে বাঁশের মাচার মত কয়েকটা বসার জায়গাতে বেশ কয়েকটা পাহাড়ি লোক বসে বসে পা দুলাচ্ছে। আর ছোট ছোট চোখে ওর দিকেই চেয়ে আছে। ভাল করে ঘোর কেটে গেলে দেখে যে জায়গাটা ঘর বলে মনে হচ্ছিল এতক্ষণ আসলে এটা একটা পাহাড়ের গুহা। যেটা দিয়ে গতকাল ঢুকেছিল তারই ভেতর জায়গা।  চারদিকে পাথরের দেয়াল। একটাই ঢোকার মুখ। মুখটার ডানদিকে ঘাড় ঝুলিয়ে কাঠের গদির সঙ্গে লোটকে ছোটমামা। বড্ড কষ্ট হল। আবার রাগও হল।  কিন্তু সে রাগ কোনো ভাবেই প্রকাশ করতে পারল না। সামনে তখন কতগুলো বুনো চতুষ্পদ,লম্বা জিব বের করে ছটফট করছে।-কি ভয়ঙ্কর ওদের দৃষ্টি! বুক  পর্যন্ত কেঁপে ওঠে। মনে পড়ল লাচুঙ আসার আগে ফগি বলে যে কুকুরটাকে টেনে নিয়ে গিয়েছিল সেই কুকুরগুলো ঠিক এই রকম দেখত ছিল না! এ সব কথা কাকে বলবে? একমাত্র ছোটমামাই ছিল। কিন্তু সে তো ঘাড় কাত করে ঐ দেয়ালের দিকে বসে আছে। রামসিঙকে কী দেখতে পাচ্ছে!  
কি আশ্চর্য! অবাক, প্রচন্ড অবাক হয়–এখানে সেই পাদ্রীটা কি করছে! পাশে সেই লুংটুক বাদক! সে তো রাস্তায় রাস্তায় বাজনা বাজিয়ে পয়সা চেয়ে নিত। গ্যাটসো অনেকবার টাকা দিয়েছে ওকে। না কি সেই লোকটা আলাদা। গ্যাটসোও নেই এখানে।  
এই কথাগুলো রামসিঙের একার মনের। সে যখন দুর্ভাবনায় ছটফট করছে ভেতর ভেতর তখন শুনতে পেল পরিষ্কার বাংলায় কে যেন বলে উঠল,-আল্লা, এবার তো ছাড়ান দ্যাও! চুয়াডাঙ্গা কত দিন দ্যাখি নাই। আর তার পরই হাউমাঊ করে কান্নার শব্দ। 
 এতক্ষণ দুশ্চিন্তার মাঝে আশপাশটা ভাল করে নজর করে নাই। রামসিঙ অদ্ভুতভাবে আবিষ্কার করে সেই ঘরে সেই বাংলাদেশের প্রতিবেশী দুই ভায়ের মধ্যে ছোটভাইটায় এখানে এইভাবে কান্না কাটি করছে। বাকীদের কোনো খবর নেই! 
ভারতীয় আর্মি চতুঃশক্তি কর্প্স ভারতীয় বর্ডার লাইনে রাস্তা ব্লক , আক্রান্ত মানুষের উদ্ধার এবং পররাষ্ট্র ক্ষেত্রেও অত্যন্ত অ্যাক্টিভ। কিছুদিন ধরেই লাচুং সহ আশপাশের এলাকায় আভ্যন্তরীন বুদবুদ তৈরি হচ্ছে। সেরগিল সাহেবের মত নর্থ সিক্কিমের চুংথাং এবং মঙ্গনের এস ডি ও এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন। উষ্মা প্রকাশ করেছে বেশ ক’দিন ধরে বিভিন্ন জায়গায় অপহরণ এবং বিশেষ করে  পাহাড়ি এলাকায় পর্যটকদের হারিয়ে যাওয়া নিয়ে। এই মুহুর্তে নেকড়েদের একটা গোয়াল ঘরেরও খোঁজ চলেছে। চতুঃশক্তি কর্প্স এই ব্যাপারে আগেই অ্যত্তালা দিয়েছে লাচুং পুলিশকে। পাহাড়ের আনাচে কানাচে বিশেষ করে নর্থ সিক্কিমের চুংথাং মাঙ্গন লাচেন লাচুং জঙ্গু এলাকার মধ্যেও ঢুকে পড়ছে চতুঃশক্তি। ইন্ডিয়ান আর্মি নিজেদের হান্টার ডগ কাজে লাগিয়ে ঘটনার মূলে পৌঁছাতে চায়ছে। নেকড়ে ধরতে ট্রেন্ড হান্টার ডগ নামিয়ে পাহাড়ি এলাকার বিভিন্ন খাঁজে চলছে চট জলদি খোঁজ। সেইটায় দেখেছিল রামসিঙের মা। কিছুদূর গিয়ে একটা পুলের কাছাকাছি আসতেই রাস্তার উপরে পাঁচজনের একটা ট্রুপ রাস্তা আটকে দাঁড়ায়। চলন্ত গাড়ির সামনে সেরগিল সাহেবকে অবাক করে দিয়ে বলে,-আগে মত যাইয়ে। মানা হ্যায়! 
(ক্রমশ)
জয়দীপ সাহা
অষ্টম শ্রেণি, সোদপুর হাই স্কুল

শীতের মানে জানো খোকা
সুব্রত চৌধুরী

শীতের মানে জানো খোকা? কুহেলিকার চাদর
খিড়কি গলে মাখন রোদের শরীর জুড়ে আদর।
শীতের মানে জানো খোকা? পিঠে, পুলির ঘ্রাণে
নলেন গুড়ের পায়েস খেয়ে উছল খুশি প্রাণে।

শীতের মানে জানো খোকা? ইচ্ছে খুশির রেলে
সাগর,নদী,পাহাড় পানে খুশির ডানা মেলে।
শীতের মানে জানো খোকা? শিমের গাছের মাচায়
রংগীন ফুলে ছোট্ট পাখি পুচ্ছখানি নাচায়।

শীতের মানে জানো খোকা? সূর্যের লুকোচুরি
মায়ের কোলে গল্প শোনা কাঁথা দিয়ে মুড়ি ।
শীতের মানে জানো খোকা? ফুলের মিষ্টি গন্ধে
ভ্রমর ওড়ে সুরে সুরে আপন মনের ছন্দে।

শীতের মানে জানো খোকা? চডুইভাতির সুখে
কোরমা পোলাও, মন্ডা মিঠাই খুকুর হাসি মুখে।
শীতের মানে জানো খোকা? মধুর খোঁজে মৌ
ঘরের দাওয়ায় রৌদ্র পোহায় ঘোমটা টানা বৌ।

অর্পিতা সিংহ
ষষ্ঠ শ্রেণি, শতদল বালিকা বিদ্যালয়, উত্তর ২৪ পরগণা


নতুন খুশির আলো
রঞ্জনা বসু

হলুদ পাখি বসল এসে ছেলেবেলার প্রচ্ছদে
উজ্বল ডানা দুটি শীত সকালের রোদ মাখে

সেখানে অক্ষর সুখে মিশে থাকি তুমি আমি
পাতায় পাতায় দেখি ফুটে থাকে ফুলেদের হাসি

সেই গাছে জল দেয় ভালোবেসে যত কচিকাঁচা
ওরা সব বলে ওঠে চেয়ে দেখো ঐ ছেলেবেলা

সে পাখি ঠোঁটের ভেতর ভরে নেয় সূর্যের রং
আগাম জানিয়ে যায় বছরের নতুন খবর

বাঁশিওয়ালা সুর তোলে পৌষের মেঠোপথে
সে সুর ভেসে বেড়ায় ছায়াঘেরা বাঁকে বাঁকে

আঁকতে পারে আলোর খুশি মনকেমনের ঘরে
তাইতো ঝরে এত মায়া সেই পুরোনো যাপনে

হলুদ পাখি বলছে বুঝি বিছিয়ে দিলাম আলো
নতুন দিন আলো আলোয় আলোকিত হল।

রুদ্রাংশ
নবম শ্রেণি, সোদপুর চন্দ্রচূড় বিদ্যাপীঠ, উত্তর ২৪ পরগণা

উৎসব মরশুমে আমেরিকাতে বাসবদত্তা কদম

পর্ব ৭ 

ভিসিটরস সেন্টার থেকে বেরিয়ে খুব অল্প সময়ের মধ্যেই পৌঁছে গেলাম। 
দেখলাম ভালোই ভীড় সেখানে। আমেরিকার স্বাধীনতার প্রতীক হিসেবে মানা হয়, এটিকে দেখতে এখনো প্রতিদিন অজস্র পর্যটক আসেন পুরো আমেরিকা থেকে।
লিবার্টি বেল বেশ বিশাল আকৃতির একটি বেল। 
বেলটায় দেখলাম একটা বেশ বড় ফাটল। ভাবলাম কয়েকশো বছরের পুরনো হওয়ায় হয়ত এরকম হয়েছে। শুনলাম তা নয়। এই ফাটল এই বেল তৈরী হয়ে আসার পরেই হয়েছিল। সারানো হয়েছিল, কিন্তু আবার একইরকম ফাটল দেখা দেয়। 
এটা তৈরী হয়েছিল লন্ডনে ১৭৫২ সালে।
শুনলাম আগে এই লিবার্টি বেল ছিল ইন্ডিপেন্ডেন্স হল যে বাড়িতে সেখানেই, পরে এটি এখানে সরিয়ে আনা হয়।
কিছু ছবি তুললাম। 
এর পরের গন্তব্য ইন্ডিপেন্ডেন্স হল।
এ দুটো বেশ কাছাকাছি একই এলাকায়।
এই বেল যেখানে আছে সেখানেই একটি ঘরে লিবার্টি বেলের সম্পর্কে অনেক তথ্য এবং ছবি রাখা আছে। এছাড়া লিবার্টি বেল মিউজিয়ম আছে ফিলাডেলফিয়া এবং পেনসিলভেনিয়াতে। সেসব তথ্য এবং কিছু ছবি দেখে আমরা বেরোলাম পরের গন্তব্য ইন্ডিপেন্ডেন্স হল দেখতে।
আমেরিকার স্বাধীনতা চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল এই হলে। আমেরিকার সংবিধানও এখানে বসেই গৃহীত হয়েছিল।
এই বাড়িটিতে এসে দেখলাম এখানে গাইড আছেন এবং আমাদের মতন সব দর্শককে একেকটা দলে ভাগ করে দেওয়া হলো। 
ইন্ডিপেন্ডেন্স হল যে বাড়িটিতে সেই বাড়িটির নাম পেনসিলভেনিয়া স্টেট হাউস।
এই যে লিবার্টি বেল, ইন্ডিপেন্ডেন্স হল এই সমস্ত যে অঞ্চলের মধ্যে সেটির নাম ইন্ডিপেন্ডেন্স ন্যাশনাল হিস্টরিক পার্ক। শহরের মাঝখানে প্রায় পঞ্চান্ন একর জায়গা নিয়ে এও এক বিশাল পার্ক।
ইন্ডিপেন্ডেন্স হলে যে সমস্ত জিনিস রাখা আছে গাইড প্রায় প্রত্যেকটি জিনিস কখন ব্যবহার হয়েছিল, কে ব্যবহার করেছিলেন, কোথায় বসে চুক্তি সাক্ষরিত হয়েছিল, তখন কারা সেখানে উপস্থিত ছিলেন সে সমস্তই খুব যত্ন সহকারে তিনি বোঝালেন আমাদের। এর মধ্যে যখনই যে যা প্রশ্ন করছিল সে সমস্তর উত্তর তিনি দিয়ে যাচ্ছিলেন।
দেখলাম সেই এসেম্বলি হল যেখানে আমেরিকার স্বাধীনতা চুক্তি সাক্ষরিত হয় আর সংবিধানের প্রথম খসড়া হয়। প্রতিটি জায়গা এবং তা সম্পর্কিত ছবি গাইড ভদ্রলোক আমাদের দেখাচ্ছিলেন। 
অবশ্যই এখানেও বেশ কিছু ছবি তুললাম। ছবিগুলো পরে যখন দেখি তখনকার সব কথা না হলেও অনেক কথাই মনে পড়ে যায়। 
এসব দেখতে শুনতে স্বাভাবিকভাবেই এখানে অনেকটা সময় চলে গেল। 
বেশ খিদে পেয়ে গেছে ততক্ষণে, চেনা দোকানের সাইনবোর্ড সাবওয়ে দেখা গেল। সাবওয়ে থেকে বার্গার খেয়ে আবার দৌড়। এইবেলা একটা কথা বলে দি, এইসব বার্গার ইত্যাদি মোটেও ভালো খাবার নয় তা সকলেই জানো, কিন্তু পকেটের কথা আর জিভের স্বাদের কথা চিন্তা করে ওদেশে খিদে পেলে এই জাতীয় খাবার অনেকবারই খেতাম বেড়াতে বেরোলে। 
পেট ভরলে মাথাটাও বেশ ঠান্ডা হয়। যদিও নভেম্বরে আবহাওয়াও বেশ ঠান্ডা আমাদের পক্ষে। 
এরপর আমরা দেখবো ফিলাডেলফিয়া সিটি হল, ম্যাশনিক টেম্পল, ফর দ্য পিপল বাই দ্য পিপল স্ট্যাচু…। আমাদের লিস্টে তো অনেক কিছুই আছে, সে তো তোমাদের আগেই বলেছি, কিন্তু নিজেরাও জানি না কতটা দেখা হবে।
আমরা ম্যাপ দেখে এমনভাবেই যাচ্ছিলাম যাতে কাছাকাছি বেশ কয়েকটা জিনিস একই অঞ্চলে দেখা হয়ে যায়।  
(ক্রমশ)

স্মরণীয় দিবস।
জাতীয় দিবস (১৫ই জানুয়ারি)
কলমে- দোলনচাঁপা তেওয়ারী দে

সেনা দিবস হল, বীর সৈনিকদের অভিবাদন জানানোর দিন, যাঁরা দেশ ও দেশের নাগরিকদের রক্ষার জন্য তাঁদের জীবন উৎসর্গ করেছেন।
১৫ই জানুয়ারি দিনটি জাতীয় সেনা দিবস' হিসেবে পালিত হয়।
১৯৪৯ সালে ১৫ জানুয়ারি তারিখে ভারতীয় সেনার প্রথম কমান্ডার ইন চিফ কন্দনডেরা  এম কারিআপ্পা (সেই সময়ের লেফটেন্যান্ট জেনারেল) অন্তিম ব্রিটিশ কমান্ডার এন্ড চিফ জেনারেল স্যার ফ্রান্সিস বুট চারের থেকে কার্য্যভার গ্রহণ করেছিলেন। পরে তিনি ভারতের ফিল্ড মার্শাল পদে উন্নীত হয়েছিলেন। এই দিবস বিভিন্ন সেনার কার্য্যালয়ের
 সঙ্গে জাতীয় রাজধানী দিল্লিতে বিভিন্ন অনুষ্ঠান এবং প্যারেড অনুষ্ঠিত করে পালিত হয়। 'জাতীয় সেনা দিবস' কেন্দ্রীয়ভাবে ইন্ডিয়া গেটের সামনে থাকা অমর জোয়ান জ্যোতিতে উদযাপন করা হয়।
এই দিবস দেশের জন্য শহীদ হওয়া প্রত্যেকটি দেশ প্রেমিকদের শ্রদ্ধা নিবেদন করতে পালিত হয়। কে এম কারিআপ্পা ১৯৪২ সালে ইউনিত অ্যাটাক কমান্ডোতে যোগ্য বলে বিবেচিত হওয়া প্রথম ভারতীয় সেনার কর্মচারী ছিলেন।
এর ইতিহাস সম্পর্কে জানতে গেলে একটু পেছনের দিকে যেতে হয়। ১৯৪৭ সালের ১৫ আগস্ট তারিখে ভারত স্বাধীনতা অর্জনের পর সমগ্র দেশ বিভাজন ও স্মরনার্থীর আগমনের জন্য এক উত্তম পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছিল। এর ফলে ভারতের বিভিন্ন প্রশাসনিক সমস্যা মাথাচাড়া দিয়ে ওঠায়, ভারতীয় সেনারা এগিয়ে আসে। এরপর দেশ-বিভাজনের পর শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে এক বিশেষ কমান্ডের গঠন করা হয়। কিন্তু সেই সময় ভারতীয় সেনার অধ্যক্ষ ছিল। ১৯৪৯ সালের ১৫ জানুয়ারি তারিখে প্রথমবার কে এম কারিআপ্পা স্বাধীন ভারতের প্রথম ভারতীয় সেনা অধ্যক্ষ হন। সেই সময় ভারতীয় সেনার প্রায় ২ লক্ষ সৈন্য ছিল। তার আগে এই পদের কমান্ডার জেনারেল রয় ফ্রান্সিস বুটচার ছিলেন তখন থেকেই প্রতি বছর ১৫ই জানুয়ারি তারিখে সেনা দিবস পালন করা হয়।
১৫ই জানুয়ারি (২০২৩) এ ভারত ব্যাঙ্গালোরে তার ৭৫ তম সেনা দিবস পালন করেছে। সেনা দিবস হল, সেই বীর সৈনিকদের অভিবাদন জানানোর দিন, যাঁরা দেশ নাগরিকদের রক্ষা করার জন্য আত্মত্যাগ করেছে।
সারা দেশে সেনা দিবস উদযাপনের সময় প্রধান সেনা দিবসের কুচকাওয়াজ টি দিল্লি সেনা নিবাসের কারিআপ্পা প্যারেড গ্রাউন্ডে পরিচালিত হয়।
বীরত্ব  পুরস্কার ও সেনা পদকও এই দিনেই প্রদান করা হয়। তথ্য অনুসারে বলা যায় যে ২০২০ সালে ১৫ জানুয়ারি ১৫ জন সৈন্যকে বীরত্বের পুরস্কার প্রদান করা হয়। অশোক চক্র ও পরম বীরচক্র পুরস্কার প্রাপকেরা প্রতিবছর সেনা দিবসের কুচকা আওয়াজে অংশগ্রহণ করেন।
সামরিক হার্ডওয়্যার, অসংখ্য কন্টিজেন এবং একটি যুদ্ধ প্রদর্শন প্যারেডের অংশ। ২০২০ সালের ক্যাপ্টেন তানিয়া শেরগিল সেনা দিবসের কুচকা আওয়াজের নেতৃত্বে প্রথম মহিলা অফিসার হয়েছিলেন।
সর্বোপরি বলি, প্রত্যেকটি দেশের সার্বভৌমত্ব রক্ষা করে এই সেনারাই। আমরা সাধারণ মানুষেরা যদি নিশ্চিন্তে ঘুমাতে পারি তা এই দেশ রক্ষাকারী সেনাদের জন্য।

🍂
পাঠ প্রতিক্রিয়া
(ছোটোবেলা ১৬১ পড়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক পাঠক যা লিখলেন) 

আপনার পত্রিকার আমি পাঠক। বেশ ভাল পত্রিকা। ভালই লাগে পড়তে। কিন্তু আজ ছোটবেলার অন্তর্ভুক্ত অতনু বোস এর লেখাটি পড়তে গিয়ে একটু হোঁচট খেলাম। আমি ইতিহাস বিশেষ জানি না। বয়স ৬৩। নিয়মিত নিউজপেপার পড়েছি। তাই ইতিহাসের খানিক সাক্ষী। অতনুবাবু তৃতীয় পরিচ্ছদে আফগানিস্তানকে দ্বিতীয়বার উল্লেখ করলেন। এবং এমন ভাবে তিন চারটি লাইন একত্রে লিখলেন মনে হল যেন মুজাহুদ্দিন দল এবং ধর্মীয় অনুশাসন যুগ রাশিয়ান ট্রুপএর হাতে তৈরি। একটু অবাক লাগল। লেখা এখানে বেশ অস্পষ্ট। যদিও উনি সরাসরি কোনো উল্লেখ করেন নি। ব্রিটানিকা দেখলাম গুগুলএ। Backed by the Unated States, the mujahideen rebelion grew, spreading to all parts of the country. এটি সাধারণ পাঠক হিসেবে এই স্টেঞ্জটি কৌশলী লেখাই মনে হয়েছে। Russia backed commism period এ দেশটি তে মেয়েদের লেখাপড়ার বাধা ছিল না। আমার ভুল হতে পারে। অগ্রীম মার্জনা চেয়ে নিচ্ছি আর বয়সজনিত অনুরোধ জানাচ্ছি একটু ভেবে দেখতে শিশুমনের উপযুক্ত লেখা ছাপালেই ভাল।

আরও পড়ুন 
বিজ্ঞাপনের বিকল্প বিজ্ঞাপনই || ঋত্বিক ত্রিপাঠী 


Post a Comment

1 Comments

  1. জয়দীপ সাহা বিবেকানন্দের ছবি ভালো এঁকেছে।

    ReplyDelete