জ্বলদর্চি

সুশীল জানা (অধ্যাপক, সাহিত্যিক, খেজুরী) /ভাস্করব্রত পতি

মেদিনীপুরের মানুষ রতন, পর্ব -- ১৪১
সুশীল জানা (অধ্যাপক, সাহিত্যিক, খেজুরী) 

ভাস্করব্রত পতি

সেই ১৯৫২ - ৫৩ সালে তিনি লিখেছিলেন 'সূর্যগ্রাস' উপন্যাস। যা হিন্দিতেও অনূদিত হয়েছিল। পরবর্তীতে ১৯৫৫ সালের ফেব্রুয়ারি মাসে সেই কাহিনি নিয়ে 'অগ্রদূত' এর পরিচালনায় চলচ্চিত্র বানানো হয়েছিল 'অনুপমা' নামে। এতে অভিনয় করেছিলেন সাবিত্রী চট্টোপাধ্যায়, উত্তম কুমার, জহর গাঙ্গুলী, অনুপ কুমার এবং অনুভা গুপ্ত। এই ছবিতে একজন অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক পিতার মৃত্যুর পর সংসারের দায়িত্ব এসে পড়ে অনুপমার (অভিনয়ে অনুভা গুপ্ত) উপরে। এরপর অনুপমার লড়াই শুরু হয় ঘরে এবং ঘরের বাইরে। সমাজের বিভিন্ন ক্ষেত্রে বিভিন্ন মানুষের কথা তাঁর লেখায় ফুটে উঠেছে এইভাবে।

পরবর্তীতে পশ্চিমবঙ্গের এক বিচিত্র জনজাতি কাকমারা সম্প্রদায়দের জীবনভিত্তিক কাহিনি নিয়ে লিখেছিলেন গল্প 'আম্মা'। ১৯৮১ তে এটি চলচ্চিত্রায়িত হয়েছিল 'দখল' নাম দিয়ে। বিখ্যাত পরিচালক গৌতম ঘোষ পরিচালিত এই 'দখল' ছায়াছবিটি ১৯৮৪ সালে 'স্বর্ণকমল' পুরস্কারে সম্মানিতও হয়েছিল। এটি ছিল পরিচালক গৌতম ঘোষের পরিচালিত বাংলা ভাষার প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র। যা ২৯ তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কৃত হয়। এছাড়াও এই 'দখল' সিনেমাটি ১১ তম ইন্টারন্যাশনাল হিউম্যান রাইটস চলচ্চিত্র উৎসবে গ্র‍্যান্ড জুরি পুরস্কার লাভ করে। এতে অভিনয় করেছিলেন মমতাশঙ্কর, সুনীল মুখার্জি, রবিন সেনগুপ্ত, সুজল রায়চৌধুরী প্রমুখ। এই 'দখল' ছায়াছবির জন্য 'বাংলা চলচ্চিত্র পুরস্কার সমিতি' শ্রেষ্ঠ গল্পলেখক হিসাবে তাঁকে রূপোর ময়ূর ও একটি মেমেন্টো দিয়ে পুরস্কৃত করেন। এছাড়াও পশ্চিমবঙ্গ জার্নালিষ্ট অ্যাসোসিয়েশন থেকে সেরা কাহিনীকার হিসেবে তিনি 'দিশারী' পুরস্কার পান ১৯৮৪ সালে। পুরস্কারস্বরূপ তাঁকে দেওয়া হয় একটি রূপোর প্রদীপদান ও মেমেন্টো। যা সেসময় মেদিনীপুরের বুকে ঘটে যাওয়া এক অভূতপূর্ব ঘটনা। নিজের লেখা কাহিনিসমৃদ্ধ সেই সিনেমায় সামন্ত জমিদারের ভূমিকায় অভিনয় করেছিলেন মেদিনীপুরের এই বিখ্যাত সাহিত্যিক সুশীল জানা। যিনি কিনা মেদিনীপুরের একজন সত্যিকারের মানুষ রতন হিসেবেই পরিগণিত আজও। 

১৯১৬ সালের ৬ ই ডিসেম্বর খেজুরীর লাক্ষী এলাকার নয়াচড়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন। বাবা ভোলানাথ জানা এবং মা বাসন্তী জানা। কিন্তু জন্মগ্রহণের এক বছরের মধ্যে তাঁর মা মারা যান। এদিকে বাবা কর্মসূত্রে মেদিনীপুরে থাকতেন। তাই ছোট থেকেই তিনি বাবার সঙ্গে মেদিনীপুর শহরের বুকে মেদিনীপুর টাউন স্কুলে পড়াশোনা শুরু করেন। এখানে পাঠগ্রহণের পর চলে যান কলকাতা। সেখানে পদ্মপুকুর ইনস্টিটিশন থেকে ম্যাট্রিক পাশ করেন। ১৯৩৪ সালে ম্যাট্রিক পরীক্ষা দেন। সেসময় ছুটির মাঝে একটি গল্প লিখে তা পাঠ করে শোনান হেমবাবুকে। খুব ভালো লেগে যায় তাঁর। নির্দেশ দেন এই গল্পটি 'প্রবাসী' পত্রিকায় পাঠানোর। গল্পটি সেসময় ঐ পত্রিকায় ছাপা হয়।
'দখল' সিনেমার পোস্টার

এরপর ভর্তি হন আশুতোষ কলেজে। তখন থেকেই নিজেকে যুক্ত করেন প্রত্যক্ষ রাজনীতির সঙ্গে। ১৯৪০ সালে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আধুনিক ভারতীয় সাহিত্য নিয়ে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি অর্জন করেন। পড়াশোনা শেষ করে কলকাতার মুরলীধর গার্লস কলেজে ১৯৫১- ১৯৮১ পর্যন্ত বাংলা বিভাগে অধ্যাপনা করেন। এর আগে ১৯৫০ সালে তিনি বসুমতী দেবীকে বিবাহ করেন। শুরু করেন নতুন জীবন। শুরু করেন পথচলা। 
'অনুপমা' ছায়াছবির পোস্টার

সুশীল জানা লেখালেখি শুরু করেন স্কুল জীবন থেকেই। কলকাতায় পড়ার সময় সহপাঠীদের সঙ্গে নিয়ে একটি হাতে লেখা পত্রিকা প্রকাশ করেন। সেখানেই তিনি প্রথম লেখেন। বাংলার শিক্ষক বুদ্ধদেব বসু গোষ্ঠীর কবি হেমচন্দ্র বাগচী ও ইংরেজীর শিক্ষক বীরেন বোস সেসময় ছাত্রদের মনে সাহিত্যচর্চার এক জোয়ার সঞ্চার করেন। সেই প্রভাবে প্রভাবান্বিত হন ছাত্র সুশীলও। হেমচন্দ্রের প্রভাবে তিনি শুরু করেন গদ্য এবং পদ্য বিষয়ক নানা লেখালেখি। তপশিলি উপজাতিদের নিয়ে তিনি গবেষণা করেছেন। বিশেষ করে এই জেলায় অবস্থানরত দক্ষিণ ভারতীয় তেলুগু শবর জাতির কাকমারাদের নিয়ে। বাড়ির পাশেই ছিল হিজলি টাইডাল ক্যানেল। সেখানেই গোলাবাড়ি গ্রামে বসবাস করত কাকমারা সম্প্রদায়ের লোকজন। তাঁদের জীবন, যন্ত্রনা ফুটিয়ে তুলেছেন তাঁর রচনায়। বিখ্যাত 'আম্মা' গল্পের লেখার অনুপ্রেরণা এঁরাই। ১৯৩০ থেকে ১৯৩৩ পর্যন্ত সময়কালের জাতীয় আন্দোলন ও মেদিনীপুরের বুকে বিয়াল্লিশের ভারত ছাড়ো আন্দোলন নিয়ে গবেষণা করেছেন। 

তাঁর লেখা বেশকিছু লেখায় এসেছে বিখ্যাত তেভাগা আন্দোলনের কথা। এই আন্দোলন পশ্চিমবঙ্গের কয়েকটি জেলায় প্রাধান্য পেয়েছিল সেসময়। সেই আন্দোলন সম্পর্কে তিনি উল্লেখ করেছেন, "তেভাগা আন্দোলনের মাধ্যমে ধানজমি নির্ভর গ্রাম বাংলার কৃষক খেত মজুর সর্বপ্রথম নিজের শ্রমের মূল্য বুঝতে পারলো। জোতদার জমিদারের টনক নড়লো। শোষিত গ্রাম বাংলা যেন দুই তৃতীয়াংশ ফসল পেয়ে খুশিতে ভরে উঠলো। তাই বলি, তেভাগা আন্দোলন কৃষক বাংলার খুবই উপকার করেছিল সন্দেহ নেই। তবে একথাও ঠিক, কোথাও কোথাও (যেমন- মেদিনীপুর, সুন্দরবন...) অবশ্য মাত্রার বাড়াবাড়ি ঘটে গেছে। কৃষক খেত মজুরের অতি লোভ দুই তৃতীয়াংশ নয়, ষোল আনাই গ্রাস করেছে। এটা ঠিক হয়নি।"

তিনি ছিলেন একজন কৃতি সাহিত্যিক। একাধারে ছিলেন অধ্যাপক। অন্যদিকে চিত্রশিল্পী, হোমিও চিকিৎসক এবং অভিনেতা। এককথায় সর্বগুণে গুণান্বিত মেদিনীপুরের এক কৃতি সন্তান। তাঁর লেখা প্রথম উল্লেখযোগ্য গল্পটি হল 'মিছেকথা'। ১৯৪৪ সালে তাঁর লেখা প্রথম গল্প সংকলন 'পদচিহ্ন' প্রকাশিত হয়। তাঁর গ্রন্থের সংখ্যা প্রায় ৩০ টি। এরপর প্রকাশিত হয় উপন্যাস 'শ্যাওলা', সাগর সঙ্গমে', 'শতদ্রুর সংখ্যা', 'গ্রামনগর'। এছাড়াও লিখেছেন, 'ঘরের ঠিকানা', 'চিরদিনের কাহিনী', 'শ্রেষ্ঠ গল্প', 'বেলাভূমির গান', 'গল্পময় ভারত', 'নগরে প্রান্তরে', 'বিপ্লবের ডাক', 'মহানগরী', 'ভারতবাণী', 'দ্বিতীয় জীবন', 'সহস্রবর্ষের প্রেম' ইত্যাদি। তবে তাঁর লেখা দু'টি অপ্রকাশিত গ্রন্থ হল -- ১. Salt movement ২. First Approach of Kakmaras in Bengal in the Battle of Palassy'। সাহিত্যিক সুশীল জানা ভারতীয় চিরায়ত সাহিত্যের কাব্য সংকলন অনুবাদ ও সম্পাদনা করেছেন- 'সহস্র বর্ষের প্রেম' নামে। এটি আসলে 'ঋকবেদ' থেকে 'গীতগোবিন্দ' পরিক্রমা এবং আরও একশ বছরের পথ। ইংরাজীতে লেখা তাঁর কাব্যগ্রন্থটির নাম- 'Love Poems from Early Ricveda to the Tenth Centuries'। 

অধ্যাপক সুশীল জানা অ্যান্টি ফ্যাসিস্ট রাইটার্স অ্যাসোসিয়েশনের সক্রিয় সদস্য ছিলেন। সেইসাথে যুক্ত ছিলেন 'অরণি', 'স্বাধীনতা' ও 'পরিচয়' পত্রিকার সঙ্গে। ১৯৪৪ সালে সত্যেন্দ্রনাথ মজুমদারের সহকারী সম্পাদক হয়ে 'অরণি' পত্রিকার সাথে যুক্ত হয়েছিলেন। ১৯৪৫ থেকে তিনি 'স্বাধীনতা' পত্রিকার সম্পাদনার সঙ্গে যুক্ত হন। একসময় রজনীপাম দত্তের 'ইণ্ডিয়া টুডে' পত্রিকার সম্পাদনাও করেছিলেন। পরে ১৯৪৯ সাল থেকে তিন বছর সুধীন্দ্রনাথ দত্তের বিখ্যাত 'পরিচয়' পত্রিকার সম্পাদক হন। কাকাবাবু মুজফফর আহমেদের অনুরোধে তিনি 'ন্যাশনাল বুক এজেন্সী'র সাথেও যুক্ত হন। এই ন্যাশনাল বুক এজেন্সির সঙ্গে তাঁর গভীর সম্পর্ক ছিল। 

অধ্যাপক সুশীল জানা তাঁর সাহিত্য জীবনের প্রথম দিকে আনন্দবাজার পত্রিকার দোল সংখ্যা, পূজা সংখ্যা সহ 'অরণী', 'স্বাধীনতা', 'পরিচয়' ও 'প্রবাসী' পত্রিকায় নিয়মিত লিখতেন। বড়সড় পত্রিকায় লেখার ইচ্ছা এবং ভাবনা সকলেরই থাকে। তাঁরও ছিল। ১৯৪২ এর আগে তাঁর লেখার একটা অংশ ছিল। কিন্তু ১৯৪২ এ মেদিনীপুরের বুকে প্রলয়ঙ্করী বিপ্লব এবং প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর তিনি তাঁর লেখার ধারাটিকে বদলে ফেলেছিলেন। 

নিজের জেলা, নিজের গ্রাম তাঁকে টেনেছে বারংবার। তাঁর সাহিত্য চর্চায় সেই গ্রামের অবদানের কথা স্বীকার করেছেন অকপটভাবে। তিনি লিখেছেন, "আমার লেখক সত্তাকে গ্রামই টেনেছে। সেখানকার সরল দরিদ্র সাধারণ মানব মানবীরাই তাঁদের জীবনের রসদ জুগিয়েছে আমার লেখায়। কিন্তু ১৯৪২ এর পরে আমার দেখা সেই গ্রাম বাংলার মায়াময়, স্নিগ্ধ ছায়াময় পরিবেশ এবং জীবনগুলি বদলে গেল। ১৯৪২ এর জঙ্গি আন্দোলন মেদিনীপুরে বণ্যুৎসবের আকার নিয়েছিলো। এর পরেই ঘটল সমুদ্রোচ্ছাস। ধেনো দেশের একটা বৃহৎ অঞ্চল তার সম্পদ সম্পত্তি নিয়ে এক রাত্রে নিঃসম্বল হয়ে গেল। বাচ্চা কাচ্চা, নারীদের নিয়ে লোকশক্তি প্রায় নিশ্চিহ্ন। প্রচণ্ড ঝড়ে ক্ষতিগ্রস্থ সমগ্র জেলাই। এ খবর সরকার থেকে প্রায় সাতদিন চেপে রেখেছিল। তাঁরা তখন ২য় বিশ্বযুদ্ধের জন্য প্রতিরোধ শিবির গড়ছে জেলার সমুদ্র অঞ্চল বরাবর। জাপানীদের কাছে পর্যুদস্ত হয়ে ভারতীয় সেনাবাহিনীর জোয়ানদের পরিত্যাগ করে ব্রিটিশ ধুরন্ধররা পালিয়ে এলো। যুদ্ধশাস্ত্রের ভাষায় 'পশ্চাদপসরণ' করলো। এই দুঃসময়ে মেদিনীপুরের ভাগ্যে জুটলো ওঁদের কঠিন 'denial policy'। কোনো খয়রাত, কোনো সাহায্য নয়। প্রাকৃতিক বিপর্যয়ের পর ধান, চাল যা গোলাজাত ছিল, তা 'সিজ' করা হলো। সব নৌকা ডুবিয়ে বা ভেঙে নষ্ট করে দেবার হুকুম জারি হলো। সাইকেলের ব্যবহারও নিষিদ্ধ হলো। মেদিনীপুরের এই দমচাপা অবস্থার মধ্যে সেদিন যাঁরা এগিয়ে এসেছিলেন তাঁদের মধ্যে সচেতন বিপ্লবী অংশের মানুষেরা যেমন ছিলেন, তেমনি ছিলেন শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়। কলকাতার দৈনিক কাগজে, রাজনীতির কেন্দ্রে ও আড্ডায়, অ্যাসেম্বলিতে উত্তাপ ছড়িয়ে পড়লো। এই দুর্দিনে আমার সাহিত্য জগতের পটভূমি বদলে গেছে। অপঘাত মৃত্যু বা অসহায় নিষ্ঠুর মৃত্যুর মুখোমুখি দাঁড়িয়ে সেদিন এই প্রশ্নই এসেছিলো মনে- 'কে এঁদের বাঁচাবে? দু'দশটা লঙ্গরখানায় কি সমস্যা মিটবে?' এর পরেই ঘটলো আমার লেখার ধারার পরিবর্তন। একটি ১৯৪২ এর আগে, অন্যটি' ৪২ এর পরে তথা জলোচ্ছ্বাস, মহামারী ও দুর্ভিক্ষ পরবর্তী অধ্যায়। গল্প উপন্যাসের মাধ্যমে আমার জেলার অপরিচিত কিংবা স্বল্প পরিচিত অঞ্চল, তাঁদের জীবন ও সমস্যা তুলে ধরার চেষ্টা করেছি। কেউ কেউ একে 'আঞ্চলিক সাহিত্য' বলে থাকেন। তিরিশ চল্লিশের দশকে সাহিত্যের পটভূমি ছিল একঘেয়ে (মূলত সাধারণ মধ্যবিত্তের জীবন সংকট, দ্বন্দ্ব, প্রেম, হিংসা, ছলনা ইত্যাদি তথা শহর ও শহরতলি কেন্দ্রিক) । সেটাকে ভাঙতে চেয়েছি। নতুন পটভূমি, অচেনা, অজানা আঞ্চলিক মানুষের জীবন সমস্যা রচনায় ফুটিয়ে তোলার চেষ্টা করেছি।"
অধ্যাপক সুশীল জানা

তাঁকে পশ্চিমবঙ্গ সরকার দিয়েছে 'বঙ্কিম পুরস্কার'। ১৯৮৪ সালে 'শতদ্রুর সন্ধ্যা' উপন্যাসের জন্য তিনি এই বঙ্কিম পুরস্কারে সম্মানিত হন। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ১৯৯৩ সালে পেয়েছেন 'শরৎচন্দ্র রৌপ্য স্মৃতি' পদক। এরপর ২০০১ সালে বাংলা আকাদেমি ও রাজ্য সরকার সম্মিলিতভাবে তাঁকে সম্বর্ধিত করে। ২০০৮ এর ১৬ ই অক্টোবর মৃত্যু হয় এই মানুষটির। আমরা হারালাম আমাদের জেলার এক কৃতি সন্তানকে। 
(তথ্য ঋণ - খেজুরীর স্বাধীনতা সংগ্রামী ও গুণীজন, খেজুরী ইতিহাস সংরক্ষণ সমিতি; মেদিনীপুর চরিতাভিধান, প্রথম খণ্ড, সম্পাদক -- মন্মথনাথ দাস)

🍂

Post a Comment

2 Comments

  1. খুবই মনোগ্রাহী লেখা হয়েছে। তোমাকে ধন্যবাদ। 100টি লেখা নিয়ে একটা সংকলন প্রকাশ করার কথা বলে ছিলাম। কি হলো জানিও।

    ReplyDelete
  2. Very fine. Thanks

    ReplyDelete