Posts

Showing posts from January, 2023

দেশান্তরী -৪ /হিল্লোল রায়

Image
দেশান্তরী -৪ হিল্লোল রায়  প্রথম আলোর চরণধ্বনি, রইলো হয়ে চোখের মণি ট্রাফিক পুলিশ হাত ওঠাতেই রাস্তা পেরিয়ে চৌরঙ্গীর মোড়ে এসে দাঁড়ালাম! ট্রাফিক পোলের 'লাল' সংকেত তখন 'সবুজ'। ঘড়ির বড় কাঁটা সবে মাত্র ৯ এবং ১০ এর মধ্যস্থ জায়গায় তিনচতুর্থাংশে অবস্থান করছে আর ছোটকাঁটাটা বড়কাঁটার নীচে ভয়ে জড়সড় হয়ে গা ঢাকা দেওয়ার চেষ্টা করছে। বুঝলাম আমাদের সময় সংক্ষিপ্ত কারণ মার্কিণ দূতাবাস সকাল ৮টা থেকে ১২টা এবং বেলা ২II. থেকে ৫টা পর্য্যন্ত খোলা থাকে। কাজেই বারোটার আগে গিয়েই আমাদের মার্কিণ দূতাবাসে পৌঁছোতে হবে। অফিস যাত্রীদের অফিস পৌঁছাবার চিন্তাকে কমিয়ে দিয়ে কলকাতা পরিবহণ সংস্থার একটা দোতলা বাস হাতছানি দিল আমাকে ও সঞ্চয় ঘোষকে। দোতলায় জানলার পাশে জায়গা পেলাম আমরা। ক্ষণিক গল্পের সু্যোগ পেয়ে সঞ্চয় ও আমি বেশ উৎসাহের গোড়ায় ইন্ধন জুগিয়ে নিলাম। মিনিট পনেরোর মধ্যেই ডবল ডেকার ঊর্দ্ধশ্বাসে ছুটে গিয়ে আমাদের গন্তব্যস্থল বিড়লা প্ল্যানেটোরিয়ামের সামনে ঘেঁষে শেক্সপীয়ার সরণীর মুখে নামিয়ে দিয়ে হুঁশ করে বেরিয়ে চলে গেল। আমরা দুজন হেঁটে হেঁটে যখন মার্কিন দূতাবাসে পৌঁছালাম তখন সকাল ১০টা বেজে ৩০ মিনিট। ক

প্রতাপ সিংহ ও বিমান কুমার মৈত্র-র কবিতা

Image
স্টেশনে  প্রতাপ সিংহ  ঘন্টার পর ঘন্টা বসে আছি একটা স্টেশনে  চতুর্দিকে ঝড় তুলে একটার পর একটা ট্রেন  দিগন্ত পেরিয়ে যাচ্ছে  শ'য়ে শ'য়ে মানুষ নামছে  আমি কাউকে চিনি না, কেউ আমাকে চেনে না এক মুখের সঙ্গে অন্য মুখের কোনো মিল নেই।  মিল শুধু একটাই -- আলোছায়ার ভেতর দিয়ে  একটা অদৃশ্য আধোচেনা রাস্তা।   কোথাও যেতে হবে আমাদের   ছুটতে ছুটতে আরেকটা পৃথিবী   এক্ষুনি ছুঁয়ে ফেলতে হবে আমাদের! জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।  👇 জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ https://chat.whatsapp.com/JWMuazCj0LLA1FNgunt5HY জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে...   বিমান কুমার মৈত্র সন্ধিক্ষণ এমন নম্র সন্ধ্যায় একটি জাহাজ  যেন ক্রমশ বিন্দুভূত দৃষ্টি  শূন্যতায় ঢলে পড়ে। তাকে খূঁজি শব্দের মতো। ওইখানে শ্বেত পত্র ছিল। সময় অসময়ে ওরাও বরফের কুচি হয়ে ঝরে গেছে কবে কৃষ্ণ-গোধূলি তীরে। বোধ হয় বাবুইয়ের চঞ্চুবিদ্ধ হয়ে  চলে গেছে বিলাসী মহলে। জোনাকির আকাঙ্ক্ষার  ওম পাবে বলে। কৃষ্ণ-গোধূলি তীরে বসে আছি  বাঙ্ময় স্তব্ধতার রূপ মুগ্ধ হয়ে। কবিতা সরিয়ে রাখি। এখানে কবিতা ভাবার কোন অবকাশ নেই।। জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে 👇 ২০২৩ জ্বল

রাতি /ভাস্করব্রত পতি

Image
বাংলা প্যারোডি কবিতা, পর্ব -- ৫ রাতি ভাস্করব্রত পতি গোধূলির রঙে রেঙে দিন শেষ হল। উনুনে ভাতের হাঁড়ি ফুটিতে বসিল।। মাতাল পাতাল ফুঁড়ে শুঁড়িখানা ছোটে। বউগন দ্যায় মন 'সিরিয়াল' পাঠে।। ফুটিল তারার দল, আলোক ছুটিল। তাসপেটা লোকজন আসিয়া জুটিল।। গোপনে আসিল চোর করিতে হরন। গয়নার পুঁটুলি আর অযাচিত ধন।। ঝিঁ ঝিঁ শুধু রব করে, বাকি সব স্থির। ঝিকমিক ঝিকমিক আলো জোনাকির।। ওঠো ওঠো ভাত খাও, যাও ঘুম দেশ। স্বপনের মায়াজালে রাত হবে শেষ।। জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।  👇 জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ https://chat.whatsapp.com/JWMuazCj0LLA1FNgunt5HY জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে...   প্রভাত মদনমোহন তর্কালঙ্কার  পাখি সব করে রব রাতি পোহাইল। কাননে কুসুমকলি সকলি ফুটিল।। শীতল বাতাস বয় জুড়ায় শরীর। পাতায়-পাতায় পড়ে নিশির শিশির।। ফুটিল মালতী ফুল সৌরভ ছুটিল। পরিমল লোভে অলি আসিয়া জুটিল।। গগনে উঠিল রবি সোনার বরণ। আলোক পাইয়া লোক পুলকিত মন।। রাখাল গরুর পাল লয়ে যায় মাঠে। শিশুগণ দেয় মন নিজ নিজ পাঠে।। উঠ শিশু মুখ ধোও পর নিজ বেশ। আপন পাঠেতে মন করহ নিবেশ।। জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে 👇 ২০২৩ জ্বলদর্চি তিরিশ প

দূরদেশের লোকগল্প – কানাডা (উত্তর আমেরিকা)খরগোশের খাবার-দাবার / চিন্ময় দাশ

Image
দূরদেশের লোকগল্প – কানাডা (উত্তর আমেরিকা) খরগোশের খাবার-দাবার চিন্ময় দাশ   অনেক অনেক কাল আগের কথা। এক গ্রামে একবার ভারি উপদ্রব শুরু হল। এমনিতেই গ্রামে খাবার-দাবারের কোন অভাব নাই। বেশ শান্তিতেই বাস করে মানুষজন। ভারি সদ্ভাব সকলের মধ্যে। হঠাৎই এক রাক্ষসের উদয় হোল। একা রাক্ষসে রক্ষা নাই। সাথে তার বুড়ি এক ডাইনি বউ। তাদের উৎপাতে বেঁচে থাকাই দায় হয়ে উঠল।  দিনমানে তাদের ছায়াটুকুও দেখা যায় না। উদয় হয় রাত্তিরে। গোটা গ্রাম তখন ঘুমিয়ে কাদা। রাত নিঝুম। এর ওর ঘরে হানা দেয়। খাবার-দাবার যা কিছু মজুদ করা থাকে,মূহুর্তে সব সাবাড় করে, বা কেড়ে-কুড়ে নিয়ে, উধাও হয়ে যায়।  বিপদ বাড়ল, মাঝে মাঝে ছোট ছোট বাচ্চারা উধাও হয়ে যেতে লাগল। লোকজনেরা এসে ধরে পড়ল গ্রামের মোড়লকে। কিছু একটা বিহিত করো তুমি। কয়েকজন লেঠেল ছিল মোড়লের। তাদেরকে নামালো হোল। কিন্তু সন্ধানই পাওয়া গেল না রাক্ষসটার। পাওয়া যাবে কী করে? বনের একেবারে গভীর এলাকায়, পাহাড়। সে পাহাড়ের লুকানো এক গুহায় ডেরা করেছে রাক্ষস। দিনের বেলা ডেরা থেকে বেরোয়ই না তারা। তাছাড়া, রাক্ষসের বউটা আসলে ডাইনি। অনেক বিদ্যা জানে বুড়িটা। অদৃশ্য হয়ে চলাফেরা করতে পারে তারা।

অজানা পথে ( চতুর্থ পর্ব )/ মিলি ঘোষ

Image
অজানা পথে ( চতুর্থ পর্ব )  মিলি ঘোষ    "দিদি, মেয়ের বিয়ে হয়ে গেলে তো আপনি একদম একা হয়ে যাবেন।" মনামী ভাত নামাচ্ছিল। রাহীর দিকে না তাকিয়েই বলল, "এসব কথা বিভিন্ন মানুষ, বিভিন্ন সময়ে আমাকে ভাবাতে চেয়েছে। আমি ভাবিনি। যখন যেমন পরিস্থিতি আসবে, তখন তেমন চলব।" রাহী ঘাড় নেড়ে সমর্থন করে মনামীকে। মনামী আবার বলল, "বেশি নেগেটিভ চিন্তা করলে, এগোনো মুশকিল।" মনামীর এখন ব্যস্ততা তুঙ্গে। কয়েক মাস পরেই মধুরার বিয়ে। প্রচুর কেনাকাটা চলছে। রাহী, ফিরেও দেখে না সে'সব।  কিন্তু মনামী যখন বলে, "রাহী, এটা তুলে দাও। ওটা নামিয়ে দাও।" রাহী উৎসাহ নিয়ে করে দেয়।  যেদিন কাজ বেশি থাকে, রাহীর সময়ের কথা ভেবে মনামী সেদিন ওকে শুধু বাসন মাজিয়েই ছুটি দিতে চায়।  বলে, "তোমার অনেক সময় নষ্ট হলো। আজ আর ঘর মুছতে হবে না।" রাহী ঝাঁটা হাতে নিয়ে এসে বলে, "ঘরটা ঝাঁট দিয়ে দিই দিদি ?"  সারাদিনে একটু বিশ্রাম নেই যার, সে এত উৎসাহ কোথা থেকে পায়। এতটুকু বিরক্তি নেই।  সৃষ্টিকর্তা রাহীর শারীরিক ও মানসিক শক্তির লেভেল, হয়তো অন্যদের থেকে বেশ উঁচুতেই রেখেছেন। শারীরিক শক্তি

আবর্ত শেষ পর্যন্ত দিশা দেখায়/সৈয়দ কৃত্তিকা তাবাস্সুম

Image
আবর্ত শেষ পর্যন্ত দিশা দেখায় সৈয়দ কৃত্তিকা তাবাস্সুম পুস্তক পর্যালোচনা আবর্ত: রোশেনারা খান "র" প্রকাশন মূল্য ২৫০ টাকা। সমকালীন বাঙালি সমাজ ও সাংস্কৃতিক জীবনের বিশ্লেষক হিসেবে রোশেনারা খান একটি প্রতিষ্ঠিত নাম। তাঁর ৩৬টি প্রবন্ধের সাম্প্রতিকতম সংকলন, 'আবর্ত ', তাঁর গভীর জীবনবোধ এবং অভিজ্ঞতা থেকে উঠে আসা ফসল। রোশেনারা খান শুধু বিশ্লেষকই নন, তিনি নারী এবং সমাজ সম্পর্কিত বহু সংস্কার আন্দোলনের প্রথম সারির কর্মী । ফলে তত্ত্বকথার সঙ্গে,  তাঁর যে কোনো আলোচনার পরতে পরতে জড়িয়ে থাকে জীবনের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা থেকে পাওয়া দুর্দান্ত সব উপলব্ধি । এই সংকলনের প্রবন্ধগুলি মূলত পাঁচটি বিষয়কে কেন্দ্র করে লেখা: নারী, মুসলমান সমাজ, গ্রামজীবন (অনেক প্রবন্ধই এই তিনটির মধ্যে একাধিক বিষয় ছুঁয়ে আছে), কোভিড লকডাউন এবং বিবিধ। বিষয় -অনুসারে বিন্যস্ত হলে সংকলনটি বিদ্যায়তনিক মানদণ্ডে অনেক  'গোছানো' হত ঠিকই; অন্যদিকে,  সমস্ত বিষয়গুলি মিলেমিশে থাকায় পাঠক অবশ্যই একটা অন্য ধরনের স্বাচ্ছন্দ্য পাবেন। রোশেনারা খানের জীবনে অগ্রগামিতার যে সহজাত অভিজ্ঞান আছে, সেই রকম তালেই এগিয়ে চলে তাঁর বই।

শ্রীরামকৃষ্ণের সন্ন্যাসী সন্তানেরা -৬১/প্রীতম সেনগুপ্ত

Image
পর্ব ৬১ শ্রীরামকৃষ্ণের সন্ন্যাসী সন্তানেরা প্রীতম সেনগুপ্ত   স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ  শ্রীরামকৃষ্ণদেবের সন্ন্যাসী সন্তান স্বামী ত্রিগুণাতীতানন্দ সম্পর্কে স্বামী চেতনানন্দজী তাঁর গ্রন্থ ‘GOD lived with them’-এ লিখছেন ---“This story begins with a loss of a gold watch. Sarada Prasanna, the son of a rich landlord, was admitted to the Metroplitan Institution in North Calcutta when he was in the seventh grade.  For four years Sarada studied in that school, where M., the recorder of the gospel of Sri Ramakrishna, was headmaster. Sarada was a talented boy, and his teachers expected him to achieve a brilliant score in the Entrance examination and thereby obtain a scholarship; Sarada was also contemplating his bright future. But who can change Divine Providence? On the second day of the examination someone stole Sarada's gold watch while he was having refreshments. Sarada was extremely upset; he felt that because of his carelessness a highly vulnerable thing had been stolen. He c

ক্যুইজ-৩৬/ সাগর মাহাত

Image
ক্যুইজ-৩৬/ সাগর মাহাত ১. বিশ্ব জলাভূমি দিবস পালিত হয়— ১৫ ফেব্রুয়ারি ২ ফেব্রুয়ারি ২০ সেপ্টেম্বর ১১ জানুয়ারি ২. International day of Reflection কবে পালিত হয়— ২০ জুন ১৫ মে ২৫ ডিসেম্বর ৭ এপ্রিল ৩. World day against child labour 2020 পালন করা হয় — ২০ এপ্রিল ১৫ মার্চ ১২ জুন ১৫ মে ৪. জাতীয় প্রযুক্তি দিবস— ১৩ ডিসেম্বর ১৫ অক্টোবর ১১ মে ৯ মার্চ ৫. ১৯৯৪ সালে গণহত্যা সম্পর্কিত কী পালন করা হয়— International day of Reflection Pollution free day youth day healty day ৬. কবে International yoga day 2020 আয়োজিত হয়— ১৯ মে ২১ জুন ২৫ জুন ৩১ মার্চ ৭. World red cross দিবস পালিত হয়— ৮ মে ৩১ আগস্ট ১৫ ফেব্রুয়ারি ১৮ জুন ৮. হিমাচল প্রদেশ তাদের রাষ্ট্র দিবস পালন করে— ২৫ জানুয়ারি ২৬ জানুয়ারি ২৭ জানুয়ারি ২৮ ফেব্রুয়ারি ৯. জাতীয় পঞ্চায়েতি রাজ দিবস পালন করা হয়— ১৫ জুন ২৮ জুন ২৪ এপ্রিল ১৫ মার্চ ১০. জাতীয় নিরাপদ মাতৃত্ব দিবস পালন করা হয়— 14 January 11 April 15 February 20 January ১১. বিমান মেট্টোলজি দিবস— 23 April 20 May 15 January 21 December ১২. জাতীয় ভোটার দিবস ২০২০ থিম ছিল— Electoral literacy for stronger

কবিতা অ্যাভিনিউ /পর্ব -২৯ /বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায়

Image
কবিতা অ্যাভিনিউ পর্ব -২৯ বিপ্লব গঙ্গোপাধ্যায় বাংলাদেশের সাতের দশকের অন্যতম সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব কবি ও অধ্যাপক মাহমুদ কামাল। তাঁর কবিতার সঙ্গে পরিচয় সেই কবে থেকে। শুধু কবিতা নয় তাঁর মননশীল প্রবন্ধও সমৃদ্ধ করেছে বাংলা সাহিত্যের প্রবাহকে।তিনি স্রোতের কবি নন। গতানুগতিকতার বিরুদ্ধে কাব্যচিন্তার নিজস্ব প্রকরণ তৈরি করেছেন রচনা করেছেন আলাদা এক নির্মাণবিশ্ব।গ্রামবাংলার প্রতিদিনের চেনা দৃশ্য যা আমাদের জীবনের সাথে সম্পৃক্ত তারই অন্তর্ভেদী জীবনঘনিষ্ঠ রূপ এবং গ্রামীণ নিসর্গের বিস্তার দেখা যায় তাঁর কবিতার রেখাচিত্রে।নিভৃতমনস্ক কবি তাঁর সাহিত্যজীবনের সূচনালগ্নেই রাজধানীর চিৎকার ও সাড়ম্বর প্রদর্শনী থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রেখেছেন। এমনকি প্রতিষ্ঠিত কবি হিসেবে দেশে বিদেশে সম্মানিত হওয়ার পরও কেন্দ্রের প্রতি বিন্দুমাত্র মোহ তাঁকে আচ্ছন্ন করেনি। বরং  নিজের দৃষ্টিকে আরও গভীরভাবে নিবদ্ধ করেছেন বাঙলার নদী মাঠ দিগন্তের দিকে এবং অনুভব করেছেন ‘মানুষই তো প্রকৃত উদ্ভিদ’। ফলে জীবন প্রদায়িনী সেই শেকড়ের কাছে, মাটির কাছে, প্রেম ও প্রকৃতির কাছে নিবেদন করেছেন নিজের সম্পুর্ণ সত্তাকে।      ১৯৫৭ সালের ২৩ অক্টোব

কথাকার সন্মাত্রানন্দ-এর সাক্ষাৎকার নিয়েছেন জ্বলদর্চি-র পক্ষে মৌসুমী ঘোষ

Image
“অত্যন্ত শ্রদ্ধার সঙ্গে আমি আমার প্রিয় লেখকদের নাম বলেও একথা স্বীকার করছি, যদি প্রিয় লেখকদের কাছ থেকে আমি আমার কাক্ষিত লেখাটি পেয়ে যেতাম তাহলে আমি কিন্তু কলম ধরতাম না” কথাকার সন্মাত্রানন্দ-এর সাক্ষাৎকার   নিয়েছেন জ্বলদর্চি-র পক্ষে  মৌসুমী ঘোষ  মৌসুমীঃ  ত্রিপুরার মনুনদী আপনার ভালোবাসা – মনুনদীকে কেন্দ্র করে আপনার ত্রিপুরায় অতিক্রান্ত করা সময়ের কথা শুনতে আগ্রহী আমরা।  সন্মাত্রানন্দঃ  মনুনদী ভৌগোলিক ভাবে উত্তর ত্রিপুরার একটি নদী, যেটি ত্রিপুরার মাটি ধুয়ে বাংলাদেশে ঢুকে তারপর সাগরে গিয়ে পড়েছে। এই নদীটি অত্যন্ত প্রাচীন। আমাদের দেশে যেসব প্রাচীন পুরাণ তাতেও এই মনুনদীর উল্লেখ আছে। আমি ব্যক্তিগতভাবে এই নদীর সঙ্গে পরিচিত ছিলাম না, কারণ আমি তো ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলায় থাকতাম। সেখানকার কাছাকাছি নদী গোমতী আর হাওড়া নদী, যেটা বাংলাদেশে ঢুকে হয়ে গেছে তিতাস। মনুনদীর সঙ্গে আমার পরিচয় হয় আমি যখন উত্তর ত্রিপুরার কৈলাশহর, ধর্মনগর — ঐদিকে যাই। আসলে ততদিন অবধি আমি আমার লেখালেখি প্রকাশ করবার কথা ভাবিনি। কিন্তু সেই প্রথম মনুনদীর ধারে বসে থাকতে থাকতে আমার অনুভব হয় যে, আমি যা কিছু লিখছি সেই লেখালেখি

পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় ও সন্দীপ কাঞ্জিলাল-এর কবিতা

Image
পলাশ বন্দ্যোপাধ্যায় দেশান্তর হারার কাছে জেতা যখন হারে। জীবন নামের নিকষ কারাগারে। তখন কবিতারা, নিমিত্তে দায়সারা, নিয়ম ভাঙে হেলায় বারে বারে। এ সত্যিটা যেদিন থেকে জানি। তোমার মতো আমিও এটা মানি। বিপন্নতার দেশে, অনটনের শেষে, হেরো'ও বাঁচে সরিয়ে মনের গ্লানি। এও তো এক বাঁচার পরিসর। ঘরের ভিতর আর একখানা ঘর। বিষণ্নতায় ভাবো? তবুও বলে যাব, আসলে দেশ দেশেই দেশান্তর। জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে যুক্ত হোন।  👇 জ্বলদর্চি হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ https://chat.whatsapp.com/JWMuazCj0LLA1FNgunt5HY জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে...   প্রতিদান  সন্দীপ কাঞ্জিলাল  আমার নাতি বালির ভাত রান্না করছে  ধুলোর ডাল নকল উনুনে বসিয়েছে  কানি খোলার ঝোল বানিয়ে  কলাপাতায় সাজিয়েছে সবকিছু।  আমার আর কিছু দেওয়ার নেই ভেবে  কেউ কিছুই আর আমাকে দিচ্ছে না। সবাই যখন আমার প্রহর গুনতে ব্যস্ত তখন আমার নাতি,  সপেদা গাছের তলায় আমার হারানো শৈশব  আমাকে ফিরিয়ে দিচ্ছে।  জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে 👇 ২০২৩ জ্বলদর্চি তিরিশ পেরিয়ে। শুভেচ্ছা জানালেন স্বনামধন্য লেখক শিল্পী ক্রীড়াবিদ।

ইতু পূজা /ভাস্করব্রত পতি

Image
পশ্চিমবঙ্গের লৌকিক উৎসব, পর্ব -- ৫৭ ইতু পূজা ভাস্করব্রত পতি  "করিলে ইতুর পূজা বন্ধ্যা নাম যায়।  সময়েতে বিভা হয় তাহার মায়ায়।। করিলে ইতুর পূজা দুঃখ হয় দূর।  ধনে পুত্রে পৌত্রে বাড়ে সুখের সংসার।।" ইতু পূজা আসলে সূর্যদেবের ঘট পূজা। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন, "অগ্রহায়ণ মাসে প্রতি রবিবার শষ্যসম্পত্তি কামনায় ক্ষুদ্র মৃন্ময় ঘটে এই পূজা করিতে হয়। ইহার নাম ইতুর ঘট বা ইতু। ঘটের মধ্যে মাটি ধান্য ছোলা মটর প্রভৃতি রবিশষ্য থাকে। সংক্রান্তিতে ঘটবিসর্জন হয়। মিত্র অগ্রহায়ণের আদিত্য। এই হেতু ঐ মাসে ইতুপূজা হয়। মার্গশীর্ষে তপেন্ মিত্রঃ"। আদিত্য হল অদিতির পুত্র। তথা সূর্য। বাংলা পঞ্জিকা অনুসারে অগ্রহায়ণ মাসে সূর্য বৃশ্চিক রাশিতে অবস্থান করে। এই অবস্থানে সূর্যের নাম মিত্র হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছে। ড. স্বপন কুমার ঠাকুর উল্লেখ করেছেন, "এই আদিত্য থেকে ইতু শব্দটি এসেছে। শাক্তধর্মের প্রভাবে ইতু ক্রমশ দেবীতে পরিণত হয়েছেন। সূর্যদেবতা থেকে ইতু শষ্যদেবী লক্ষ্মীতে রূপান্তরিত হয়েছেন। এইকারণে তিনি ইতুলক্ষ্মী নামে রাঢ়বাংলায় পূজিত"। হরিবংশমতে দ্বাদশ দেবতার নামে