Posts

পৃথিবী ২০৭৭ /পর্ব-৩/রাজ অধিকারী

Image
পৃথিবী  ২০৭৭ রাজ অধিকারী  পর্ব ৩ প্রায় ঘন্টা দুয়েক অজ্ঞান থাকার পর চোখ পিটপিট করে তাকালো পাপান। ষণ্ডামার্কা যমদূত এবং ফিনফিনে আঙ্কেল ওর মুখের ওপর হুমড়ি খেয়ে পড়েছিল। চোখ খুলে ওই দৃশ্য দেখতেই পাপান ভয়ে লাফিয়ে উঠলো এবং লাফালেই ফিনফিনে আঙ্কেলের সাথে মাথা ঠোকাঠুকি হয়ে গেল। "উরে বাবারে! মেরে ফেললো রে!" বলে চেঁচাতে লাগলো সেই ফিনফিনে আঙ্কেল। যমদূত এদিকে খুশিতে নেচে নেচে গাইতে আরম্ভ করলো বাচ্চা ছেলেদের মতো, "উঠেছে! উঠেছে! খোকা আমাদের মরেনি! উঠেছে!" কাছেই একটা পাথরের ওপর বৃদ্ধা বসেছিলেন। উঠে এলেন হট্টগোলের আওয়াজে।  - আহ! তোরা থামলি! বৃদ্ধা মহিলার গলা এতক্ষণে শোনা গেল। পাড়ায় ঝামেলা লাগলে কলতলায় সে মহিলা সবথেকে উঁচু গলায় ঝগড়া করেন, এই মহিলা আলবাত তাদের একজন। পাপানের কাছে এলেন বৃদ্ধা। পাপান মাথায় হাত বোলাচ্ছিল। বেশ জোরেই লেগেছে ঠোকাঠুকি। পাপানের মাথায় আলতো করে হাত রাখতেই, সে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞেস করলো - আপনি কে? ওরা কারা? আর আমরা আছিই বা কোথায়? - ওরে বাবারে! এত প্রশ্ন একসাথে? বেশ। আমি গজনলিনী তালুকদার। তুমি আমাকে গজাদিদা বলে ডাকতে পারো। সবাই তাই ডাকে। আর ওই বুড়ো খোকা, যে ল

শ্যামলকান্তি দাশের কবিতা ও কবিতার মনোজগতে /গৌতম হাজরা

Image
শ্যামলকান্তি দাশের কবিতা ও কবিতার মনোজগতে গৌতম হাজরা সত্তর দশকে যে ক'জন কবি তাদের নিজস্ব কাব্য প্রতিভায় ভাস্বর হয়েছেন, তাদের মধ্যে শ্যামলকান্তি দাশ অন্যতম। এ যাবৎকাল তার যত কবিতা পড়েছি তাতে আমি শুধু মুগ্ধ হয়েছি তা নয়, বরং বলা চলে আমি তার গুণমুগ্ধ হয়ে উঠেছি। আজ পর্যন্ত তার কোনো কবিতাতেই জটিলতা খুঁজে পাইনি, অথচ সহজ সরল শব্দে তিনি যে জগৎ সৃষ্টি করেছেন, তা মনের মাঝে অদ্ভুত এক অণুরণন সৃষ্টি করেছে। তাই বলা যেতেই পারে তার কবিতার মেজাজ একেবারেই আলাদা। তার কবিতার ঝুলি থেকে বেরিয়ে আসে হ্যামলিনের বাঁশি, আর সেই বাঁশির সুরে পিলপিল করে বেরিয়ে আসে অজস্র শব্দ। এড়িগোপাল, গেঁড়িগোপাল' কবিতাটি 'দেশ' পত্রিকায় বেরিয়েছিল। কবিতাটি পড়ে বুঝেছিলাম কীভাবে তিনি শব্দকে অনায়াসে করায়ত্ত করতে পারেন। কীভাবে উলটে দেন 'কালাশশীর রসের হাঁড়ি।' 'খুঁজতে খুঁজতে এড়িগোপাল গেঁড়িগোপাল দিগনগরে আমরা ক'জন  চাঁদ হয়ে যাই  চাঁদের সঙ্গে ভাদর মাসে ফিরছি বাড়ি— মেঘ জমেছে গায়ের নীচে পায়ের নীচে উলটে যাচ্ছে কালাশশীর রসের হাঁড়ি.... তারপরে আর ? গাঁইতি শাবল উঠছে নামছে আর কিছ

নাস্তিকের ধর্মাধর্ম --৩৭ /সন্দীপ কাঞ্জিলাল

Image
নাস্তিকের ধর্মাধর্ম -- পর্ব--(৩৭) সন্দীপ কাঞ্জিলাল ভারতবর্ষ ও ধর্ম মানব সভ্যতার ইতিহাসে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের অবস্থান এবং ধর্ম ও আধ্যাত্মিকতার দিক দিয়ে প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের অবস্থান নিরূপণ করতে হলে প্রাচ্যের অন্যতম উপমহাদেশ ভারতবর্ষকে নানা দিক দিয়ে খুঁজতে হবে। সারা পৃথিবীতে ধর্মের মানুষ ও মানুষের ধর্ম কিভাবে মানবজাতিকে যুগে যুগে সভ্যতা ও সংস্কৃতির অগ্রগমনের ইতিহাসের দিকে এগিয়ে বা পিছিয়ে দিয়েছে তার খবরও পাওয়া দরকার।  ভারতবর্ষ প্রাচ্যের একমাত্র দেশ, যেখানে সব ধর্মের মিলন ঘটেছে, সব ধর্মের মানুষের সহাবস্থান সম্ভব হয়েছে এবং প্রাগৈতিহাসিক কাল থেকেই এই ভূমিখন্ডে মানুষ তার আত্মার আনন্দ লাভের জন্য ব্যাকুল থেকেছে। এখানেও বিনা বিচারে মানুষের ধর্মীয় দর্শনগুলিকে কখনও গ্রহণ করা হয়নি এবং কোন ধর্মই এখানে সুপ্রতিষ্ঠিত একমাত্র ধর্ম বলে স্বীকৃতি লাভ করেনি। ধর্ম কেন ভারতীয়দের জীবনে মূল প্রেরণাশক্তি; কেন আবহমানকাল ধরে নানা উত্থান পতনের মধ্যেই ধর্মীয় বিশ্বাসগুলি থেকে মানুষকে এক চুলও নড়ানো যায়নি- এসব প্রশ্নের উত্তরও খোঁজার প্রয়োজন রয়েছে। অপরদিকে এই বিশ্বাস ভারতবাসীকে কতটা এগিয়ে বা

শ্যামলকান্তির কবিতা, কবিতায় শ্যামলকান্তি /উৎপল ঝা

Image
শ্যামলকান্তির কবিতা, কবিতায় শ্যামলকান্তি উৎপল ঝা শিরোনাম এরকমই ভেবেছিলাম— কবিকে তাঁর জীবনচরিতে না পাওয়া গেলেও, তাঁর কবিতায় নিশ্চয় তিনি ধরা দেবেন। অন্তত বেশিরভাগ কবির কবিতায় তাঁর স্বপ্ন, প্রেম, বেদনা বা আশাভঙ্গের বিচ্ছুরণ ধরা পড়ে। এর বাইরে থাকেন যে সামান্য ক-জন তাঁরা নিজেদের কবিতায় এত প্রচ্ছন্ন হয়ে থাকেন যে, তাঁদের রেখাচিত্র আঁকা দুষ্কর। হ্যাঁ, শ্যামলকান্তিও তেমনি একজন কবি, যাঁকে, যাঁর আত্মবিক্ষেপ থেকে ব্যক্তি মানুষটিকে চিহ্নিত করা খুবই দুরূহ কাজ। আমরা যারা শ্যামলকান্তিকে কিছুটা ঘনিষ্ঠভাবে জানবার সুযোগ পেয়েছি তারা জানি তাঁর স্বভাবের কিছু তির্যক বৈশিষ্ট্যের কথা। বন্ধুবৎসল ও অভিমানী। আপাত মুখরতা, নিজের বিশ্বাসের কথা স্পষ্ট উচ্চারণে উচ্চকণ্ঠে বলা যাঁর স্বাভাবিকত্ব। উত্তেজনার মুহূর্তে তীর নিক্ষেপে নির্দয়, কিন্তু পরমুহূর্তে নিজেই অনুতাপবিদ্ধ। এমন সব মহৎগুণের অধিকারী শ্যামলকান্তি। বাইরে থেকে তাঁকে যতটা প্রগলভ ও বহির্মুখী মনে হয়, তাঁর কবিতা কিন্তু অন্যকথা বলে। বড়ই অন্তরমুখী, গভীর গোপন তাঁর চলা। তাঁর কবিতার এক মুগ্ধ পাঠক আমি। শ্রেষ্ঠ কবিতার পাতা উল্টে আমি ব্যক্তি

ছোরি : গল্প বলে ভূতের চেয়ে ভয়ঙ্কর মানুষদের /রাকেশ সিংহ দেব

Image
ছোরি : গল্প বলে ভূতের চেয়ে ভয়ঙ্কর মানুষদের  রাকেশ সিংহ দেব পরিচালক - বিশাল ফুরিয়া অভিনেতা - নুসরত ভারুচা, সৌরভ গোয়েল, মিতা বশিষ্ঠ, রাজেশ জয়েশ।  মুক্তি – ২৬ নভেম্বর,২০২১। অ্যামাজন প্রাইম।  রেটিং – 3/5 বলিউড বিভিন্ন জঁরার সিনেমা নির্মাণে মুন্সিয়ানা দেখালেও, হরর ঘরানার ছবির সাথে যেন তার ছত্তিশ কা আখড়া। হাতে গোনা কিছু মুভি ছাড়া হরর মুভির নামে বলিউড কেবল ছড়িয়েছে। ঘুরিয়ে ফিরিয়ে সেই একই গতের কাহিনী, মুভি জুড়ে অপ্রাসঙ্গিক যৌনতা ও অশ্লীলতা, খাপছাড়া চিত্রনাট্য, বাজে পরিচালনা ইত্যাদি সমস্যায় জর্জরিত বলিউডের হরর মুভিগুলি। প্রায় সময়ই হরর সিনেমার মোড়কে দর্শকদের উপহার দেয়া হয়েছে বস্তাপচা কন্টেন্ট, যা নিয়ে সমালোচনার কোনো অন্ত ছিল না। ২০১৮ সালে মুক্তি প্রাপ্ত দুই সিনেমা 'পরী' ও 'তুম্বাড়' একশো আশি ডিগ্রি পাল্টে দিয়েছিল বলিউডের হরর ঘরানার চিরাচরিত চিত্রপট। এরপর আবার হরর মুভিপ্রেমীদের দীর্ঘ অপেক্ষা। সদ্য মুক্তি পাওয়া ‘ডেবুক’ দেখে যখন হতাশ দর্শক সেই সময় আশা জাগালো আমাজন প্রাইমে মুক্তি পাওয়া ‘ছোরি’। ছোরি কেবল একটি হরর মুভি নয়, এটি সমাজের মাঝে লুকিয়ে থাকা ভয়ঙ্কর কুপ্রথার গল্প বলে।

যেতে যেতে পথে- ৪/ রোশেনারা খান

Image
যেতে যেতে পথে রোশেনারা খান পর্ব ৪ মেজকাকা বাড়ির কাছে রামজীবনপুরে বদলি হয়ে আসাতে কাকিমা ও ছেলে মেয়েদের নিয়ে গ্রামের বাড়িতে থাকতে এলেন।  মেজকাকা মুকুলেসুর রহমান খান সরকারি অফিসার ছিলেন। ওঁরা আসাতে আমার জীবন সম্বন্ধে ধারণা বদলে যেতে লাগল। বিশেষকরে বাইরের জগৎটাকে জানা বোঝার পরিধিটা অনেকখানি বেড়ে গেল। মেজকাকার তখন চারছেলে, দুইমেয়ে। সবার বড় শোভানারাদি, সবার ছোট মীরা, মাঝে চার ভাই। গ্রামে আসার পর আর এক জনের জন্ম হয়। ওদের চালচলন, জীবনযাত্রা দেখে আমার খুব  অবাক লাগত। মেজকাকিমা রোজ বিকেলে চুল বেঁধে কপালে টিপ, সিঁথিতে সিন্দুর দিয়ে কি সুন্দর করে সাজতেন। মা ও সাজত, তবে সিঁদুর পরত না। দাদাগুলোর আচার আচরণে কেমন একটা চালাক চালাক ভাব, দুষ্টুও ছিল। সোভানারাদিকে খুব ভাল লাগত। কি সুন্দর ঘর গুছিয়ে রাখত, রোজ বিকেলে হারমোনিয়াম নিয়ে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাইতে বসত। ছোটবোন মীরাকে চুল বেঁধে সাজিয়ে দিত। আমাকেও সাজিয়ে দিত। মীরা একটু কেমন যেন। জেদি, পাগলাটে ধরণের। আড়ালে সবাই ওকে ‘মীরাখেপী’ বলত। কাকাও খুব রাগী ছিলেন। তবে কাকার অনেক ভাল গুণও ছিল। হোমিয়প্যাথি চিকিৎসা সম্বন্ধে ভাল জ্ঞান ছিল। মায়ের কাকার ওষুধে ভরস

ভারতীয় সংগীতের ক্রমবিকাশ- ৪ /দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী

Image
ভারতীয় সংগীতের ক্রমবিকাশ দেবী প্রসাদ ত্রিপাঠী পর্ব – ৪ ধ্রুপদ ও ধামারের পরে ভারতীয় সংগীত রঙ্গমঞ্চে খেয়াল গানের আবির্ভাব হয়েছে। খেয়াল শব্দটির অর্থ কল্পনা এবং এই শব্দটি পারস্য দেশ থেকে এসেছে। খেয়াল গানের সৃষ্টি হয়েছে চতুর্দশ শতকের প্রথম পাদে কবি আমীর খসরুর মাধ্যমে। আমীর খসরু 'কওয়ালি' গানকে সম্ভ্রান্ত রূপ দিয়ে খেয়াল গানে রূপান্তরিত করেন এবং সম্ভ্রান্ত সমাজে প্রচারে সচেষ্ট হন। খেয়াল গানকে দুটি ভাগে ভাগ করা হয়। প্রথমটি হল বিলম্বিত লয়ের বড় খেয়াল যার স্রষ্টা পঞ্চদশ শতাব্দীর সুলতান হুসেন শাহ শর্কি যার কথা পূর্বে উল্লেখ করা হয়েছে। দ্বিতীয়টি হলো মধ্য বা দ্রুতলয়ের ছোট খেয়াল যার স্রষ্টা স্বয়ং আমীর খসরু। ছোট খেয়ালের দুটি ভাগ থাকে - স্থায়ী ও অন্তরা। বড় খেয়ালের সাথে ছোট খেয়ালের তফাৎ হল লয়ের। পূর্বেই উল্লেখ করেছি বড় খেয়াল বিলম্বিত লয়ের কিন্তু ছোট খেয়ালে বিস্তার করার সুযোগ কম। ধ্রুপদ গানের রচনাগুলি ছিল ধীর, শান্ত ও শৃঙ্গার রস প্রধান পক্ষান্তরে খেয়াল গান বেশীর ভাগই শৃঙ্গার রসাত্মক। ধ্রুপদের প্রভাব সেসময় এত প্রবল ছিল যে খেয়াল রীতির গান কিছু সংখ্যক মানু

শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ উপমামৃত/ পর্ব-১৪ /সুদর্শন নন্দী

Image
শ্রীশ্রীরামকৃষ্ণ উপমামৃত      পর্ব-১৪ সুদর্শন নন্দী  ১৮৮৪, ২রা মার্চ। দক্ষিণেশ্বরে ঠাকুরের ঘরে নরেন্দ্র মেঝের উপর সম্মুখে বসে আছে। ঠাকুর ইশ্বরের কাজের বিষয়ে কথা বলছেন। ভীষ্মের  উপমা দিয়ে বললেন-“ঈশ্বরের কার্য কিছু বুঝা যায় না। ভীষ্মদেব শরশয্যায় শুয়ে; পাণ্ডবেরা দেখতে এসেছেন। সঙ্গে কৃষ্ণ। এসে খানিকক্ষণ পরে দেখেন, ভীষ্মদেব কাঁদছেন। পাণ্ডবেরা কৃষ্ণকে বললেন, কৃষ্ণ, কি আশ্চর্য! পিতামহ অষ্টবসুর একজন বসু; এঁর মতন জ্ঞানী দেখা যায় না; ইনিও মৃত্যুর সময় মায়াতে কাঁদছেন! কৃষ্ণ বললেন, ভীষ্ম সেজন্য কাঁদছেন না। ওঁকে জিজ্ঞাসা কর দেখি। জিজ্ঞাসা করাতে ভীষ্ম বললেন, কৃষ্ণ! ঈশ্বরের কার্য কিছু বুঝতে পারলাম না! আমি এইজন্য কাঁদছি যে সঙ্গে সঙ্গে সাক্ষাৎ নারায়ণ ফিরছেন কিন্তু পাণ্ডবদের বিপদের শেষ নাই! এই কথা যখন ভাবি, দেখি যে তাঁর কার্য কিছুই বোঝবার জো নাই!” শনিবার, ২৪শে চৈত্র (১২৯০, শুক্লা দশমী) ইং ৫ই এপ্রিল, ১৮৮৪ খ্রীষ্টাব্দ; প্রাতঃকাল বেলা আটটা। মাস্টার দক্ষিণেশ্বরে দেখলেন, শ্রীরামকৃষ্ণ সহাস্যবদন, কক্ষমধ্যে ছোট খাটটির উপরে বসে আছেন। মেঝেতে কয়েকজন ভক্ত বসে; তারমধ্যে প্রাণকৃষ্ণ মুখোপাধ্যায় রয়েছেন। প্রা

অ্যাপের নাম বাবাজী-৪/ লেখক বাসুদেব গুপ্ত

Image
অ্যাপের নাম বাবাজী  বাসুদেব গুপ্ত ৪র্থ পর্ব   -এআই বলতে এখন আর আরটিফিসিয়াল ইন্টেলিজেন্স বোঝায় না। বরং বলা যায় অলটাইম ইন্ট্রিউডার।   শিখা গম্ভীরভাবে বলতে শুরু করে। রূপম বাধ্য ছাত্রের মত শোনে। মুখে গর্বের ছাপ স্পষ্ট।  -তাকিয়ে না থেকে একটু নোটস নেবেন রুপমদা। কি বলেছি পরে পয়েন্ট যদি ভুলে যাই।   রূপম তাড়াতাড়ি প্যাড আর বলপেন নিয়ে বসে পড়ে। এত অগ্রগতি হয়েছে তাও অনেকেই এখনও কর গুনে হিসেব করে আর প্যাড খুলে নোট নেয়।  -তোমরা নিশ্চয় আমাজনে জিনিষ কেন বা বিগ বাস্কেটে অর্ডার দাও বা ফেসবুকে বিজ্ঞাপন গুলো দেখ মাঝেমাঝে। কখনও কি খেয়াল করেছ তুমি যদি একটা শার্ট কিনে থাকো, তারপরে গুগল খুললে বা ফেসবুক খুললে চারদিকে খালি শার্টের বিজ্ঞাপনে ভরে যায়? -এই হচ্ছে আজকের এ আই। সারা পৃথিবীর লোকে কি কিনছে, ওষুধ জামা বই চা কফি, যে ওয়েব সাইটে তুমি সার্ফ করছো, যে ছবিটা খানিকক্ষণ তাকিয়ে দেখছো সব এই এআই মশাইরা নজরে রাখছেন, টুকে নিচ্ছেন এবং যথাস্থানে পাঠিয়ে দিচ্ছেন। কোথায় এদের বাসা? গুগলে, ক্রোমে, ফোনে, কোথায় নয়।  -তুমি কি টাইপ করছ, আলেক্সাকে কি গান শোনাতে বলছ সব এদের নখদর্পণে। তার মানে এআই জানো তুমি কি খেতে ভা

নীরদচন্দ্র ও ঈশ্বরচন্দ্র /সুগত ত্রিপাঠী

Image
নীরদচন্দ্র ও ঈশ্বরচন্দ্র সুগত ত্রিপাঠী শ্রীশ্রীনীরদচন্দ্র চৌধুরী মহোদয় সমীপেষু— পরমপূজ্যপাদ, চরণযুগলে শতকোটি প্রণামান্তে অধমের নিবেদন এই,আপনি,স্বনামধন্য শ্রীনীরদচন্দ্র চৌধুরী মহোদয়, 'ঈশ্বরচন্দ্র অবশ্যই মহাপুরুষ, শ্রেষ্ঠ বাঙালি নন' শীর্ষক একখানি প্রবন্ধ রচনা করিয়াছেন এবং উক্ত প্রবন্ধে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলিয়া স্বীকার করিতে অস্বীকৃত হইয়াছেন। প্রবন্ধটিতে আপনি যে ছয় জন বাঙালিকে 'শ্রেষ্ঠ' শিরোপা দিয়াছেন তাঁহারা আপনার ভাষায় 'শ্রেষ্ঠত্ব অনুযায়ী পরপর' এইরূপ --- রবীন্দ্রনাথ, বঙ্কিমচন্দ্র, কেশবচন্দ্র সেন, বিবেকানন্দ, শরৎচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় ও সুভাষচন্দ্র বসু। বিদ্যাসাগর মহাশয়ের স্থান ইঁহাদের মধ্যে হয় নাই।                             কেন আপনি ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরকে শ্রেষ্ঠ বাঙালি বলিয়া স্বীকার করেন নাই,তাহার পশ্চাতে কিছু যুক্তি দিয়াছেন। সেই যুক্তিগুলির মধ্যে যেগুলি বিসদৃশ  বলিয়া মনে হইয়াছে, সেগুলি লইয়া আলোচনা করাই বর্তমান পত্রের উদ্দেশ্য।                             নীরদবাবু, আপনার প্রথম যুক্তিটি এইরূপ:"তিনি সংস্কৃতে

Arun's creation, "The poetry of Supreme Consciousness" and spirituality.,/Dipali Maity

Image
Arun's creation, "The poetry of Supreme Consciousness" and spirituality.                Dipali Maity  Ph.D scholar in English in YBN University, Ranchi, Jharkhand.                        Part-1   Abstract: Supreme consciousness and spirituality are the benevolent sublime incorporeal spirits which help the philosopher poet Arun to acquire the subtle analysis of the words of poetry and then the poet becomes the pioneer of the z-generation poetry. The poet Arun has to love the benevolent spirits of supreme consciousness and spirituality to overcome the unconscious, sub-conscious, conscious mind and overall concentration brings through spirituality. To feel the untouchable limitless internal sublime spirit, happiness, love and peace of poetry, the philosopher poet Arun follows the supreme consciousness and spirituality which bring the highest form of knowledge of the words of the z-generation poetry. To enter the supreme consciousness, totally has to suspend from

জঙ্গলমহলের জীবন ও প্রকৃতি- ৪/শিলদা রাজবংশ/সূর্যকান্ত মাহাতো

Image
জঙ্গলমহলের জীবন ও প্রকৃতি- ৪ শিলদা রাজবংশ সূর্যকান্ত মাহাতো আগে জায়গাটার নাম ছিল ঝাটিবনি। জঙ্গলমহলে এই "ঝাটি" শব্দের অর্থ হিসাবে বনের গাছের সরু সরু ডাল বা শাখা-প্রশাখাকে বোঝায়। জ্বালানির কাজে এগুলো ব্যবহৃত হয় বলে এখানকার বিপুল সংখ্যক আদিবাসী মানুষেরা বন থেকে ঝাটি সংগ্রহ করে বান্ডিল বেঁধে বিক্রি করত। তাই ঝাটিময় গভীর বনভূমির নাম থেকে 'ঝাটিবনি' নাম হয়ে থাকতে পারে (ঝাড়গ্রাম ইতিহাস ও সংস্কৃতি, মধুপ দে)। একসময় সাঁওতাল সম্প্রদায়ের আদি বাসস্থান ছিল এই 'সাতভূম' বা 'সাঁওন্তভূম' বা সামন্তভুমি। ইংরেজদের লাগাতার শাসন আর শোষণকে ভয় না পেয়ে বরং তাদের রাতের ঘুম কেড়ে নিয়েছিলেন এখানকার অধিবাসীরা। চোখে চোখ রেখে প্রতিবাদ ও প্রতিরোধের আগুন ছড়িয়ে ছিল তারা। এই ঝাটিবনি বা পরবর্তী কালে 'শিলদা'ই হয়ে উঠেছিল একসময় সেই বিখ্যাত ঐতিহাসিক চুয়াড় বিদ্রোহের মূল ঘাঁটি। বিদ্রোহের প্রভাব এতটাই ছিল যে, সেই সময় এখানকার রাজা ও রাণীও এই বিদ্রোহে প্রত্যক্ষ ভাবে অংশগ্রহণ করেছিলেন। তারপর এল ২০১০ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারির সেই অভিশপ্ত রাত্রি। যেদিন ই. এফ. আর. ক্যাম্পে মাওব

মেদিনীপুরের রসায়ন বিজ্ঞানী ড. সৌভিক মাইতি এবং এক সত্যিকারের 'ফেলুদা'-২ /পূর্ণচন্দ্র ভূঞ্যা

Image
বিজ্ঞানের অন্তরালে বিজ্ঞানী ।। পর্ব ― ৫০ মেদিনীপুরের রসায়ন বিজ্ঞানী ড. সৌভিক মাইতি এবং এক সত্যিকারের 'ফেলুদা' ―২ পূর্ণচন্দ্র ভূঞ্যা 'দিনগুলি মোর সোনার খাঁচায়...'  বাইরে আকাশে তখন বাঁকা চাঁদ আর ছেঁড়া কালো মেঘের লুকোচুরি খেলা জমে উঠেছে। ঝিঁঝিঁ ডাকে একনাগাড়ে। 'বৃষ্টি পড়ে টাপুর টুপুর নদেয় এল বাণ'― ঘুমপাড়ানি গান গাইতে গাইতে কাছে পিঠে কেউ ছেলেকে ঘুম পাড়ায়। তার মৃদুমন্দ সুরেলা কণ্ঠ বাতাস ভেদ করে ঢুকে পড়ে একটেরে মাটির ঘরে। টিনের ছাউনি দেওয়া সে-ঘরের এক কোণে একটি কাঠের চেয়ার আর একটি টেবিল। টেবিলের উপরে ঝিমিয়ে পড়া হ্যারিকেনের টিমটিমে আলো জ্বলে। কেরোসিন তেলে জ্বলে পুড়ে কালো কালি ছেয়ে গেছে কাচ-ফানুসের ভেতর, শীর্ষদেশ। কালচে সে-আলোকে ফ্যাকাসে সাদা পৃষ্ঠায় আঁকচিরা কেটে চলেছেন চেয়ারে বসা প্রৌঢ় গবেষক। পাশের খাটে তাঁর বছর সাত-আটের কৌতূহলী ছেলে। অত্যন্ত মেধাবী। তীক্ষ্ম বুদ্ধির অধিকারী। একমনে নিজের পড়াশুনা নিয়ে ব্যস্ত। একনিষ্ঠ মেধাবী ছাত্র সে। তার কচি দু'চোখে খালি অপার বিস্ময়! দিন দিন কী এত লিখে যাচ্ছে তার বাবা! কখনও কোনও প্রশ্ন করে না। মাঝে মাঝে শুধু অবাক হয়ে তাকিয়ে